1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ০৩:১৩ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

টার্গেট এখন মেজর জিয়া

  • আপডেট সময় রবিবার, ২৮ আগস্ট, ২০১৬

সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
তামিম চৌধুরীর নিহতের পর এবার টার্গেট মেজর (বরখাস্তকৃত) জিয়া। বর্তমানে জিয়া পালাতক রয়েছেন। গুলশান, শোলাকিয়া ও কল্যাণপুরে ঘটনার দুই মূলহোতাদের মধ্যে মেজর জিয়া অন্যতম। তাকে ধরার চেষ্টা করে যাচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এর আগে মেজর জিয়া ও তামিম চৌধুরীকে ধরিয়ে দিতে ২০ লাখ টাকা করে পুরস্কার ঘোষণা করে পুলিশ সদর দপ্তর। পুলিশের দাবি মেজর জিয়া বর্তমানে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের শীর্ষ নেতা। ২০১১ সালে সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থান চেষ্টায় জড়িত অভিযোগে বরখাস্ত ও বর্তমানে পলাতক রয়েছেন জিয়া। তার পুরো নাম সৈয়দ মো. জিয়াউল হক।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, মেজর জিয়া আগে থেকেই উগ্রগোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। মুফতি জসীমুদ্দিন রাহমানী গ্রেফতার হওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদে বলেছেন, ধরা পড়ার আগে তিনি একাধিকবার ঢাকা ও চট্টগ্রামে মেজর জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
সেই অভ্যুত্থান চেষ্টার মাসখানেক পর সেনাবাহিনী সংবাদ সম্মেলন করে ওই অভ্যুত্থান চেষ্টা নস্যাতের কথা জানিয়েছিল। ২০১২ সালের জানুয়ারিতে সেনা সদর দপ্তরে আয়োজিত ওই সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছিল, অবসরপ্রাপ্ত এবং সেনাবাহিনীতে কর্মরত কিছু ধর্মান্ধ কর্মকর্তা অন্যদের ধর্মান্ধতাকে পুঁজি করে দুরভিসন্ধিমূলক কর্মকান্ডের মাধ্যমে সেনাবাহিনীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ধারাকে ব্যাহত করার একটি বিফল প্রয়াস চালিয়েছিল।
‘এই অপপ্রয়াসটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রতিহত করা হয়েছে।’ অপপ্রয়াসের পেছনে কিছু প্রবাসী বাংলাদেশীর ইন্ধন ছিল জানিয়ে তখন বলা হয়, বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশী নাগরিক ইশরাক আহমেদ তাদের অন্যতম। ইশরাক হংকং প্রবাসী ধারণা করে জানানো হয়, তার বাবা এম রাকিব আর তার গ্রামের বাড়ি নওগাঁ জেলার সদর উপজেলার বারশাইল ইউনিয়নের বালুভাড়া গ্রামে।
সেনা সদরের সংবাদ সম্মেলনে এও জানানো হয়, ওই ঘটনায় অবসরপ্রাপ্ত লে. কর্নেল এহসান ইউসুফ ছাড়াও অবসরপ্রাপ্ত মেজর জাকিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ বিষয়ে একটি তদন্ত আদালত গঠনের কথাও তখন জানায় সেনা সদর।
বিস্তারিত জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ১৩ ডিসেম্বর ২০১১ একজন কর্মরত মেজর পদবির কর্মকর্তাকে ঘৃণ্য কর্মকান্ডের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে যোগদানের প্ররোচণা দেওয়া হলে ওই কর্মকর্তা তাৎক্ষণিক বিষয়টি তার চেইন অব কমান্ডের মাধ্যমে জানালে কর্নেল এহসানকে সেনাবাহিনী আইনের ২১ডির এবং ৭৩ ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়।
‘সেনাবাহিনীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপপ্রয়াসের অন্য পরিকল্পনাকারী মেজর সৈয়দ মো. জিয়াউল হক গত ২২ ডিসেম্বর ২০১১ অন্য এক কর্মরত কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করে তাকেও রাষ্ট্র ও গণতন্ত্রবিরোধী কর্মকান্ড তথা সেনাবাহিনীকে অপব্যবহার করার কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত হতে প্ররোচণা দেন। ওই কর্মকর্তা বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবগত করলে সদ্য দীর্ঘমেয়াদি প্রশিক্ষণ সম্পন্নকারী মেজর জিয়ার ছুটি ও বদলি আদেশ বাতিল করে তাকে সত্বর ঢাকার লগ এরিয়া সদর দপ্তরে যোগ দিতে বলা হয়। বিষয়টি টেলিফোনে গত ২৩ ডিসেম্বর তাকে জানানো হলেও তিনি পলাতক থাকেন।’
মেজর জিয়াউল হকের বাড়ি মৌলভীবাজার জেলার সদর উপজেলার মোস্তফাপুর গ্রামে। মেজর জিয়া এক সময় রাজধানীর বারিধারা ডিওএইচএস এলাকার ৯ নম্বর সড়কের ৫১২ নম্বর বাড়ির তৃতীয় তলায় থাকতেন। সর্বশেষ জিয়াউল মিরপুর সেনানিবাসের পলাশের ১২ তলায় ছিলেন। তার বাবার নাম সৈয়দ মো. জিল্লুল হক। তিনি সত্তরের দশকে চাকরি নিয়ে সৌদি আরবে যান এবং দুই মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে সৌদি আরবে অবস্থান করেন। জিয়া দুই বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে সবার বড়। তার পাসপোর্ট নম্বর— এক্স-০৬১৪৯২৩।
জিয়াউল হক প্রথমে বিয়ে করেন তার মামা বিচারপতি মইনুল হকের মেয়ে লিপিকে। ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ২০০৭ সালে প্রথম স্ত্রী মারা গেলে তিনি পটুয়াখালীর মোখলেছুর রহমানের ছোট মেয়ে সাফা জোহরাকে বিয়ে করেন। তার শ্বশুর পটুয়াখালী শহরের আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। শাশুড়ি হামিদা বেগম পটুয়াখালী শহরের শেরেবাংলা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষিকা।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com