সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
উদ্বোধনের ১১ মাস ৮ দিন পর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চালু হলো ই-গেট। এতে ই-পাসপোর্টধারী একজন যাত্রী ১৮ সেকেন্ডে ভেরিফিকেশন শেষে ই-গেট অতিক্রম করতে পারছেন। গত সোমবার পরীক্ষামূলকভাবে ই-গেট ব্যবহার করা হয়। মঙ্গলবার বিকেলে বিমানবন্দরে ই-গেটের কার্যক্রম চালু করা হয়।
শাহজালাল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, শাহজালাল বিমানবন্দরে আগমনী ইমিগ্রেশনে তিনটি এবং বহির্গমন ইমিগ্রেশনে ১২টি ই-গেট চালু করা হয়েছে। গত সোমবার পরীক্ষামূলকভাবে কিছু যাত্রীকে ই-গেটের মাধ্যমে সফলভাবে ইমিগ্রেশন স¤পন্ন করা হয়। মঙ্গলবার যাত্রীদের জন্য পুরোপুরি ই-গেট চালু করা হয়। এ সময় পুলিশের ¯েপশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিআইজি) মো. মনিরুল ইসলাম, ই-গেট স্থাপন প্রকল্পের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাদাত হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম বলেন, ই-গেটের মাধ্যমে ই-পাসপোর্টধারী যাত্রী ১৮ সেকেন্ডে ভেরিফিকেশন শেষে ই-গেট অতিক্রম করতে পারছেন।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) জানায়, চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ছয়টি এবং সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ছয়টি ই-গেট স্থাপন করা হয়েছে।
গত বছরের ৩০ জুন শাহজালাল বিমানবন্দরে ছয়টি ই-গেট উদ্বোধন করা হয়। তবে এতদিন এর কার্যক্রম বন্ধ ছিল। শাহজালাল বিমানবন্দরে এত দিন সনাতন (ম্যানুয়াল) পদ্ধতিতে পাসপোর্টের তথ্য যাচাই করতে হতো ইমিগ্রেশন পুলিশকে। অল্প সময়ের ব্যবধানে একাধিক আন্তর্জাতিক গন্তব্যের ফ্লাইট সূচি থাকলে ইমিগ্রেশন কার্যক্রমে চাপ পড়ে। এসব ঝক্কি এড়াতে ই-গেট বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। শাহজালালে বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ২১ হাজার যাত্রী আসা-যাওয়া করেন। ২০২০ সালের ২২ জানুয়ারি ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার উদ্বোধন করা হয়। পাসপোর্ট অধিদপ্তর জানায়, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছেন প্রায় ৩৩ লাখ মানুষ। এর মধ্যে ২৬ লাখ ২২ হাজার ৩০০ জন ই-পাসপোর্ট পেয়েছেন।
যা আছে ই-গেটে :
বাংলাদেশ পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদপ্তর সূত্র জানায়, যখন ই-পাসপোর্টধারী একজন ব্যক্তি ই-পাসপোর্ট নিয়ে ই-গেটের সামনে যাবেন, তখন একটি নির্দিষ্ট স্থানে ই-পাসপোর্টটি রাখলে সঙ্গে সঙ্গে গেট খুলে যাবে। নির্দিষ্ট নিয়মে গেটের নিচে দাঁড়ানোর পর ক্যামেরা ছবি তুলে নেবে। এরপর সব ঠিকঠাক থাকলে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই যাত্রী ইমিগ্রেশন পেরিয়ে যেতে পারবেন। তবে কেউ যদি ভুল করেন তা হলে লালবাতি জ্বলে উঠবে। তখন সেখানে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে সঠিকভাবে ই-পাসপোর্ট ব্যবহারে সহযোগিতা করবেন। ই-গেটের অন্যান্য সেবার মধ্যে আছে ই-ভিসা শনাক্তকরণ। এ জন্য আন্তর্জাতিক সিভিল অ্যাভিয়েশন অর্গানাইজেশনের (আইকাও) নেটওয়ার্কিংয়ে সঙ্গে সংযোগ (কানেকটিভিটি) দরকার। এটিও প্রক্রিয়াধীন।