স্টাফ রিপোর্টার ::
বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির ভাইস চেয়ারম্যান মো. নুর-উর- রহমান বলেছেন, যুব রেডক্রিসেন্টকে স্যালুট দিতে চাই। করোনার সময়ে যখন মানুষ ঘর থেকে বের হতো না, যুব রেডক্রিসেন্ট মানুষের পাশে থেকে সহযোগিতা করেছে। মানুষকে হাসপাতালে নিয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন, আমরা এসেছি বন্যা পরবর্তী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায়দের সামর্থ্যানুযায়ী সহযোগিতা করতে। আমাদের সীমিত সামর্থ্য দিয়ে সার্বক্ষণিক ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থেকে সহযোগিতা করতে হবে।
শনিবার বেলা ১২ টায় সুনামগঞ্জ সার্কিট হাউস মিলনায়তনে হাইজিন পার্সেল বিতরণ পূর্ব মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রেডক্রিসেন্ট সিনিয়র যুবসদস্য মো. সেরুজ্জামানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে জেলা রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির সেক্রেটারি অ্যাড. মতিউর রহমান পীর বলেন, কালের প্রবাহে আস্তে আস্তে নদীগুলা ভরাট হয়ে যাচ্ছে। এই নদীগুলো আমাদের দুঃখ-কষ্টের কারণ হয়। নদী ভরাট হয়ে যাওয়ার কারণে পানি ধারণ ক্ষমতা কমে যায়। ফলে পাহাড়ি ঢলের পানিতে কৃষকের একমাত্র বোরো ফসল তলিয়ে যায়। প্রান্তিক কৃষক ছয় মাস কাজ করে যে ফসল উঠায় তা দিয়েই চলতে হয়। এভাবেই প্রকৃতির সাথে লড়াই করে টিকে থাকতে হয়। রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষের সহযোগিতায় সাধ্যমত কাজ করছে।
রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি জাতীয় সদর দপ্তরের সহায়তায় ও সুনামগঞ্জ রেডক্রিসেন্টের ব্যবস্থাপনায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পৌরসভার ২০০ পরিবারকে হাইজিন পার্সেল বিতরণ করা হয়।
এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির ব্যবস্থাপনা পর্ষদ সদস্য মোস্তাক আহমদ পলাশ, ডিজাস্টার রেসপন্স বিভাগের পরিচালক মিজানুর রহমান, আইএফআরসি প্রতিনিধি হাসিবুল বারি রাজিব। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ইউনিট কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাড. হায়দার চৌধুরী লিটন, সিরাজুর রহমান সিরাজ, এমদাদুল হক শাহজাহান।
উপস্থিত ছিলেন রেডক্রিসেন্টের কার্যনির্বাহী সদস্য রাহুল, ইউনিট লেভেল অফিসার কনিকা তালুকদার, আজীবন সদস্য আলম তাজ, যুবপ্রধান ফারজানা আক্তার ঝর্ণা, উপযুব প্রধান সালেহ আহমদ রিয়াদ, প্রিয়াস শ্যাম প্রিতম, ফারুক মিয়া, আব্দুস সালাম, জুনায়েদ আহমেদ, মাসুম আহমেদ, শাহজাহান আলম সিদ্দিকি, সোয়েব আবেদীন, সুমন আহমদ, আবু জাকের প্রিন্স, যুব সদস্য আপন আহমদ, ঝর্ণা বেগম, সুমি আক্তার, রেহেনা বেগম, সিহাব, মানিক প্রমুখ।