স্টাফ রিপোর্টার ::
দেশে খাদ্যের কোনও ঘাটতি নেই বলে আবারও জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেন, মজুতদারদের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান চলবে। শুধু তাই নয়, এ অভিযান আরও জোরদার করা হবে।
বৃহস্পতিবার সকালে বোরো ২০২২ মৌসুমে অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ ও বাজার মনিটরিং সংক্রান্ত অনলাইন মতবিনিময় সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন। মতবিনিময় সভায় অনলাইন প্লাটফর্মে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষ থেকে সংযুক্ত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এবং অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ ও বাজার মনিটরিং কমিটির সদস্যবৃন্দ। উক্ত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম।
মজুতদার ছয় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানতে চাইলে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা চিন্তা করছি যে এই সার্কুলার জারি করা যায় কিনা, যারা প্যাকেট করে চাল বিক্রি করবেন তারা দেশের বাজার থেকে কিনতে পারবেন না। তারা ৬৭ শতাংশ ট্যাক্স দিয়ে আমদানি করে প্যাকেট করবেন। এটা নিয়ে আলোচনা চলছে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, একটি মহল খাদ্য ঘাটতির বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছে। তবে বাংলাদেশে খাদ্য ঘাটতির আশঙ্কা নেই। বড় বড় করপোরেট হাউস ধান-চাল সংগ্রহ করছে। এসব প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব মিল না থাকলে তারা যেন এ ব্যবসায় যুক্ত না হতে পারে সেটা নিশ্চিতে ধান-চালের বাজারে নজরদারি বাড়াতে হবে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেছেন, কেউ যেন লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা না করতে পারে, অবৈধ মজুত করতে না পারে তা নিশ্চিত করতে হবে। ফুড গ্রেইন লাইসেন্স প্রদান ও নবায়নে জোর দিতে হবে। অবৈধ মজুতদারদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে ¯েপশাল পাওয়ার অ্যাক্ট ১৯৭৪ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে চালের দাম ও গমের দাম কমতে শুরু করেছে। সে দেশগুলো চাল ও গম রফতানি করবে মর্মে পত্রও দিচ্ছে। বাজার অস্থির করতে দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে ট্যাক্স কমিয়ে চাল আমদানি করা হবে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, দুই কারণে সরকার ধান-চাল সংগ্রহ করে। প্রথমত সরকার ধান কিনলে কৃষক তার ফসলের ন্যায্যমূল্য পায়। দ্বিতীয়ত জাতীয় খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।