জয়ন্ত সেন ::
শাল্লায় নির্মাণের চার বছর যেতে না যেতেই প্রায় দেড়কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হলরুমে বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। হলরুমের পূর্বাংশের গোড়াতে বড় ধরনের ফাটল দেখা দেওয়ায় ঝুঁকিতে রয়েছে ভবনটি। বৃহ¯পতিবার (২ জুন) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শাল্লা উপজেলা গণমিলনায়তন ভবনের পূর্ব দিকের উত্তর দক্ষিণ দিকের পুরো অংশটি ২ ইঞ্চি ফাটল। অন্যদিকে ভবনের নিচের অংশ কিছুটা দেবে যাওয়ায় বারান্দার অংশে ভেঙে গেছে বেশকিছু টাইলসও। এমন পরিস্থিতিতেই উপজেলা পরিষদের গণমিলনায়তনে চলে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন সভা-সেমিনার।
২০১৫ সালে উপজেলা পরিষদের দু’টি ভবনের নির্মাণকাজ যৌথভাবে শুরু করে এলজিইডির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জেবি, কাজী সিরাজুল ইসলাম ও মেসার্স আর এস কনস্ট্রাকশন। ২০১৬ সালে চারতলাবিশিষ্ট উপজেলা পরিষদ ও একতলা বিশিষ্ট গণমিলনায়তন ভবন দুটির কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নির্মাণকাজ শেষ হয় ২০১৭ সালের শেষের দিকে। ৮০ ফুট দৈর্ঘ্য ৬০ফুট প্রস্থের ৪তলা ও ৫৪ফুট দৈর্ঘ্য ৪০ফুট প্রস্থের গণমিলনায়তন ভবন দুটির প্রাক্কলিত ব্যয় প্রায় সাড়ে
৫ কোটি টাকা।
উপজেলা খেলাঘর আসরের সাধারণ স¤পাদক রণজিৎ কুমার দাস বলেন, উপজেলা পরিষদের গণমিলনায়তনে ফাটল দেখা দেওয়ায় খুবই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে ভবনটি। এটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানান তিনি।
এ বিষয়ে মেসার্স আর এস কনস্ট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী সুরাব মিয়া বলেন, ‘আমি দিরাই, রাস্তা উদ্বোধনে আছি’ বলে সংযোগটি কেটে দেন।
অন্যদিকে উপজেলা এলজিইডি’র অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন বলেন, যেহেতু আমি শাল্লার অতিরিক্ত দায়িত্বে আছি, সেহেতু দেখে মন্তব্য করা উচিত আমার। আগামী সপ্তাহে শাল্লায় এসে দেখে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তালেব বলেন, আমি ইঞ্জিনিয়ারকে বলছি বিষয়টি দেখার জন্য।