তাহিরপুর প্রতিনিধি ::
তাহিরপুরের পল্লীতে প্রতিপক্ষের লোকজনের এক নারী ছুরিকাহত হওয়াসহ ৩জন আহত হয়েছেন। ছুরিকাহত নারী উপজেলার বড়দল উত্তর ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগাঁও গ্রামের মো. জয়নাল মিয়ার স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৪০)। অন্যান্য আহতরা হলেন জয়নাল মিয়া (৪৯), তার ছেলে কাউসার (১৮), মেয়ে স্বপ্না বেগম (১৯)। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাত ২টার সময় তাহিরপুর উপজেলার বড়দল উত্তর ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগাঁও গ্রামে।
এদিকে গুরুতর আহত সুফিয়া বেগমকে প্রথমে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। বর্তমানে সুফিয়া বেগম সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহত অন্য দুজনকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
এঘটনায় আহত সুফিয়া বেগমের স্বামী জয়নাল মিয়া বাদী হয়ে একই গ্রামের মৃত নামদর আলীর ছেলে আজিজুল (৫০), রাসেল মিয়া (৩৫), সিরাজুল ইসলাম বকুল (৩৮), আনারুল মিয়া (২৬)সহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে বুধবার তাহিরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, পূর্ব বিরোধের জের ধরে মঙ্গলবার মধ্যরাতে আজিজুল ইসলামসহ ৮-১০ একটি দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জয়নালের বাড়িতে গিয়ে বসতঘরের দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে। এ সময় তারা জয়নাল ও তার স্ত্রী সুফিয়া বেগমকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। এক পর্যায়ে হামলাকারীরা সুফিয়া বেগমের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। এসময় জয়নাল ও তার স্ত্রীর চিৎকারে পাশের ঘরে থাকা জয়নালের ছেলে কাউসার ও মেয়ে স্বপ্না বেগম এগিয়ে এলে তাদেরকেও এলোপাতাড়ি মারপিট করে আহত করা হয়।
আহত সুফিয়ার স্বামী জয়নাল মিয়া বলেন, তারা আমাদেরকে মারপিট করে যাওয়ার সময় আমার ঘরে থাকা একটি ট্রাঙ্ক ও কিছু স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায়। ট্রাঙ্কের ভিতরে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা রাখা ছিল। পরে আমাদের চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে জানতে আজিজুল ইসলামের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আব্দুল লতিফ তরফদার অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।