বিশেষ প্রতিনিধি ::
সুনামগঞ্জে অবৈধভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করায় একটি হাসপাতাল ও ১১টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশে গত তিনদিন অভিযান চালিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় এসব প্রতিষ্ঠান। অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত এগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বন্ধ করে দেওয়া ১২টি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মধ্যে ১১টিরই কোন অনুমোদনই ছিলনা। একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের অনুমোদন থাকলেও অনেক আগেই লাইসেন্স নবায়নের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। তবে যেসব বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের এনেস্থিসিয়া প্রদান ও ওটি এসিস্ট করার সময় নিবন্ধিত চিকিৎক ছাড়া কার্যক্রম পরিচালনা করছে তাদের বিরুদ্ধে শিথিলতা প্রদর্শন করতে দেখা গেছে স্বাস্থ্য বিভাগকে।
সুনামগঞ্জ সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সুনামগঞ্জ পৌর শহরের নবীনগর এলাকার খন্দকার আলকাছ আমিনা হাসপাতাল লাইসেন্স না পেয়েই কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। তবে হাসপাতালের সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন তারা লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছিলেন। সদর উপজেলার হাসপাতাল রোডের সেবা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, এএসপি মাহবুব ডায়াগনস্টিক সেন্টার (এই ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি কোন আবেদন না করেই কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল), দোয়ারাবাজার উপজেলার এসএম ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ওলিউল্লাহ ডায়াগনস্টিক সেন্টার, লাইফ এড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, শাহজালাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ছাতক উপজেলার সুরমা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ভিশন ডায়াগনস্টিক সেন্টার, তাহিরপুর উপজেলার জনস্বাস্থ্য ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ধর্মপাশা উপজেলার জননী ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামের প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে, শাল্লায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন মেডিজোন ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে লাইসেন্স না থাকায় সিলগালা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সোমবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু তালেব মেডিজোন ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালার পাশাপাশি ২ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. আহম্মদ হোসেন বলেন, লাইসেন্স না থাকা ও নবায়ন না করায় ১১টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। লাইসেন্স পেলে বা কাগজপত্র আপডেট করে নিলে এগুলো খুলতে পারবে। আমরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অন্যান্য নির্দেশনা মেনে অভিযান অব্যাহত রাখব।