তাহিরপুর প্রতিনিধি ::
তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের পুকুর থেকে প্রায় দেড়শত ফুট লম্বা একটি আরসিসি ড্রেন নির্মাণের শুরুতেই ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার সরেজমিনে ড্রেন নির্মাণকাজে গিয়ে দেখা যায়, আগের ড্রেনের পুরাতন ইট দিয়েই আরসিসি ড্রেন নির্মাণের কাজ চলছে। পুরাতন ড্রেনের বাতিল ইট ভেঙে খোয়া তৈরি করে ঢালাই দেয়া হচ্ছে। আরসিসি ড্রেনে পাথরের ঢালাই করার কথা থাকলেও সামান্য কিছু ওয়েস্টেজ পাথরের সাথে পুরাতন ইটের খোয়া দিয়ে ঢালাই করতে দেখা গেছে।
জানা যায়, তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ ডেভেলপমেন্ট (এডিবি) অর্থায়নে উপজেলা চত্বরের পুকুর থেকে শনি হাওরে পানি নিষ্কাশনের জন্য প্রায় দেড়শ ফুট লম্বা ড্রেন নির্মাণ কাজে ৪ লাখ টাকার প্রকল্প হাতে নেয়।
স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, কোনো ধরনের ঠিকাদার নিয়োগ না করে তাহিরপুর উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইকবাল কবির ড্রেন নির্মাণকাজটি তদারকি করছেন।
স্থানীয় অনেকের অভিযোগ, উপজেলার পুকুর থেকে পানি নিষ্কাশনের জন্য শুরু হওয়া আরসিসি ড্রেন নির্মাণকাজে অনিয়ম চলছে। নতুন ইট দিয়ে খোয়া না বানিয়ে আগের পুরাতন ড্রেনের ইট ভেঙে খোয়া তৈরি করে ঢালাইয়ের কাজ করা হচ্ছে। পাথরের ঢালাইয়ে খোয়া মিশিয়ে ঢালাই চলছে।
উপজেলা সদরের বাসিন্দা মো. আল আমিন বলেন, বর্ষায় বৃষ্টির পানিতে উপজেলার পুকুর উপচে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। ফলে পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন নির্মাণকাজের উদ্যাগে নেয়া হয়। তবে ড্রেন নির্মাণকাজের বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎ করার জন্য খুবই নি¤œমানের সামগ্রী দিয়ে যেনতেনভাবে কাজ হচ্ছে।
তবে উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইকবাল কবির নিজে কাজ তদারকির বিষয়ে জড়িত নয় বলে জানান। সেই সাথে ড্রেন নির্মাণকাজের সার্বিক তথ্য দিতে তিনি কিছু জানেন না বলে জানিয়ে ইউএনও’র সঙ্গে কথা বলতে বলেন।
ড্রেন নির্মাণকাজে পুরনো ভাঙ্গাচুরা ইট ও নি¤œমানের সামগ্রী ব্যবহার করার অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী বলেন, নি¤œমানের সামগ্রী দিয়ে ড্রেন নির্মাণকাজ হচ্ছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মো রায়হান কবির বলেন, নি¤œমানের সামগ্রী দিয়ে ড্রেন নির্মাণকাজের বিষয়টি সরেজমিনে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুণাসিন্ধু চৌধুরী বাবুল বলেন, ড্রেন নির্মাণকাজে কোনো ধরনের অনিয়ম হয়ে থাকলে বরাদ্দকৃত অর্থ ছাড় দেয়া হবে না।