মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ হেলালী ::
দোয়ারাবাজার উপজেলায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণে ত্রুটির কারণে বৃষ্টি হলেই টিনের চাল দিয়ে পানি পড়ে। উপকারভোগীদের অভিযোগ, উপজেলা সদরের মাছিমপুর গ্রামের নদী ভাঙনে বসতভিটে হারানোদের জন্য সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর ১৪টি ঘর নির্মাণকাজে নি¤œমানের ইট, বালু, সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে।
সরেজমিনে ১৪টি ঘর ঘুরে দেখা গেছে, প্রয়োজনের তুলনায় সিমেন্টের পরিমাণ কম মিশিয়ে দেয়া হয়েছে ইটের গাঁথুনি। পাশাপাশি ব্যবহার করা হয়েছে নি¤œমানের ইট। নি¤œমানের কাঠ ব্যবহার করার ফলে একটু বৃষ্টিপাতেই পানি পড়ে। পানি পড়ারোধে নিজেরাই বস্তা দিয়ে সমাধানের চেষ্টা করছেন বাসিন্দারা।
পশ্চিম মাছিমপুর গ্রামে উপহারের ঘর পাওয়া শেফালী রানী দাস, সুকেশ দাস, ভূষণ দাস, সুমিতা রানী দাস, বাবুল দাস বলেন, ঘরের ফ্লোর ঢালাই উঠে যাচ্ছে। বৃষ্টি হলেই ঘরের চাল দিয়ে অঝোর ধারায় পানি পড়ে। বৃষ্টি হলে আমরা পানি মুছতে মুছতে রাত কাটাই।
ঝর্ণা রানী দাস বলেন, সুরমার ভাঙনে বসতভিটে নদীগর্ভে চলে গেলে প্রধানমন্ত্রী আমাদের ঘর উপহার দেন। কিন্তু বর্তমানে এই ঘরে থাকা কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টি হলেই উপর দিয়ে পানি পড়ে।
নিরঞ্জন দাস বলেছেন, বৃষ্টির পানি পড়ার কারণে ঘরে থাকা সম্ভব নয়। এছাড়া আমাদের এখানে আসা-যাওয়ার কোনো রাস্তা নেই। রাস্তা না থাকায় আমাদের ভোগান্তির অন্ত নেই।
রাজেন্দ্র দাস বলেন, মঙ্গলবার সকালে ইউএনও স্যার আমাদের ডেকে অফিসে আনেন। খোঁজখবর নিয়ে মিস্ত্রি পাঠিয়ে পানি পড়া বন্ধে ১৪টি ঘরে কাজ করিয়েছেন।
বাশির আহমদ বলেন, উপজেলার বাঁশতলা-হকনগরে যে কাজগুলো হচ্ছে এগুলোর অবস্থাও একই।
ত্রুটিপূর্ণ কাজের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আম্বিয়া আহমদ বলেন, আমি এখন পরমেশ্বরীপুর যাচ্ছি। এ বিষয়ে সরাসরি কথা বলবো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবাংশু কুমার সিংহ বলেন, ঘরের পানি পড়ার বিষয়ে ১৪টি ঘরের লোকজন মঙ্গলবার এসেছিলেন। পানির বিষয়ে তারা নিজেরাই কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন।