স্টাফ রিপোর্টার ::
তাহিরপুর উপজেলার ৭ ইউনিয়নের বেশিরভাগ গ্রামের নলকূপগুলোতে পানি উঠছে না। এতে বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। এদিকে, টিউবওয়েলগুলোতে পানি না ওঠায় অনেকেই ডোবা ও পুকুরের পানি ফুটিয়ে ব্যবহার করছেন গত দুই মাস ধরে।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর বলছে, অসংখ্য টিউবওয়েল, ফসলি জমিতে সেচ ও গভীর নলকূপগুলোর জন্যই মূলত পানির স্তর অনেক নিচে নেমে গেছে। যার জন্য পানি সংকট দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের বাদাঘাট, কামড়াবন্দ, মোল্লাপাড়া, দীঘিরপাড়, সুন্দর পাহাড়ি, জামবাগ, ঘাগড়া, পাঠানপাড়া, ননাই; উত্তর বড়দল ইউনিয়নের শিমুলতলা, পৈলনপুর, খাসতাল, গুটিলা, মানিগাঁওসহ তাহিরপুর উপজেলা ৭ ইউনিয়নের বেশিরভাগ গ্রামেই বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। এবারের মতো আর কখনো এভাবে পানি সংকট দেখা যায়নি। প্রতিটি টিউবওয়েলেই পানি না ওঠায় এগুলো অকেজো হয়ে পড়ে আছে। এমনকি ধানের জমিতে দেয়া পানির মেশিনেও পানি উঠছে না। আর যাদুকাটা নদীর পাড়ের বাসিন্দারা নদীর পানিই পান করছেন। এভাবে চলতে থাকলে পানিবাহিত নানা রোগে আক্রান্ত হবার আশঙ্কা করছেন উপজেলার সচেতন মহল।
উত্তর বড়দল ইউনিয়ন বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম বলেন, নলকূপে পানি না উঠায় গ্রামের সাধারণ মানুষ বাধ্য হয়ে পুকুরের পানি ফুটিয়ে পান করাসহ ব্যবহার করছেন দৈনন্দিন কাজে। অনেকেই আবার কয়েক কিলোমিটার দূর থেকে ফসলি জমিতে সেচ ও গভীর নলকূপের পানি পাত্রে ভর্তি করে কাঁধে কিংবা মাথায় করে নিয়ে আসছেন। আবার অনেকেই ভাড়ায় ঠেলা গাড়ি নিয়ে আনছেন বিশুদ্ধ পানি।
বাদাঘাট ইউনিয়নের বাদাঘাট বাজারের বাসিন্দা আমির শাহ জানান, আমার বাসার নলকূপে হঠাৎ করে পানি উঠছিল না। পরে বুঝতে পারলাম পানির স্তর অনেক নিচে নেমে গেছে। ফলে দীর্ঘদিন ধরে পানি সংকটে চরম দুর্ভোগের শিকার হই। পরে সাবমার্সিবল পা¤প বসিয়ে পানির চাহিদা মেটাতে পেরেছি।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের উপসহকারী প্রকৌশলী আল আমিন বলেন, সাধারণত শুকনো মৌসুমে পানির স্তর নিচে নেমে যায়। তাই তাহিরপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ার কারণে ব্যক্তিগতভাবে স্থাপিত ২৫০ফুট গভীর নলকূপগুলো থেকেই পানি উঠছে না। কিন্তু সরকারিভাবে স্থাপন করা গভীর পা¤পগুলোতে পানি উঠছে। বিশুদ্ধ পানি সংকট সমস্যা সমাধানে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।