মো. শাহজাহান মিয়া ::
জগন্নাথপুরে একটি ফার্মেসি থেকে শাহনাজ পারভিন জোছনা (৩৬) নামে এক গৃহবধূর ৬ টুকরা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে জগন্নাথপুর পৌর পয়েন্টের ব্যারিস্টার মির্জা আব্দুল মতিন মার্কেটের অভি মেডিক্যাল হল থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত শাহনাজ পারভিন উপজেলার নারিকেলতলা গ্রামের সৌদি প্রবাসী ছুরুক মিয়ার স্ত্রী এবং ৩ সন্তানের জননী। তারা দীর্ঘদিন ধরে পৌরসভার কার্যালয়ের পার্শ্ববর্তী একটি বাসায় বসবাস করছেন। হতভাগ্য নারীর পিতার বাড়ি উপজেলার শেওরা গ্রামে।
নিহতের স্বজনরা জানান, বুধবার বিকেলে ওষুধ কেনার কথা বলে ঘর থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন শাহনাজ পারভিন। রাতে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। স্বজনদের সন্দেহ হলে ওই ফার্মেসি মালিক জিতেশ গোপের সি/এ মার্কেটের বাসায় খোঁজ করে জানতে পারেন তিনি
পরিবার নিয়ে ভোরে পালিয়ে গেছেন। পরে বৃহ¯পতিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে পুলিশ অভি মেডিক্যাল হলের তালা ভেঙে ভেতরে বিছানার চাদর দিয়ে মোড়ানো খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় ফার্মেসি ব্যবসায়ী জিতেশ চন্দ্র গোপ তার পরিবারসহ পলাতক রয়েছে। সে কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা উপজেলার সইলা গ্রামের যাদব গোপের ছেলে। তারা দীর্ঘদিন ধরে পৌর শহরের সি/এ মার্কেট এলাকায় ভাড়াটে বসবাস করে আসছিল। পৌর পয়েন্টে ব্যারিস্টার আবদুল মতিন মার্কেটে অভি মেডিকেল হল নামের ফার্মেসীর ব্যবসা করতো জিতেশ। স্থানীয়রা জানান, গত ১০ বছর ধরে জগন্নাথপুর বাজারে ওষুধের দোকানে চাকরি করতো জিতেশ গোপ। গত এক বছর ধরে ওই মার্কেটে অভি মেডিক্যাল হল নামে একটি ফার্মেসি করেন তিনি।
জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে এবং দ্রুত এ ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে, এ ঘটনায় হতভাগ্য শাহনাজ পারভিন জোসনার পরিবারে বইছে শোকের মাতম। চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক। নৃশংস এ হত্যাকাণ্ড কেউ মেনে নিতে পারছেন না। তাই চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার সহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছেন সর্বস্তরের মানুষ।