1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ০৫:৫৮ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

চাষের আওতায় আনা হবে সিলেটের পতিত জমি

  • আপডেট সময় বুধবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
সিলেট অঞ্চলের কৃষির সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে ও সেখানকার সুবিশাল পতিত জমিকে চাষের আওতায় আনতে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। মঙ্গলবার সিলেট সার্কিট হাউজে সিলেট অঞ্চলে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
তিনি বলেন, সিলেটের হাওর, টিলা ও সমতলে কৃষির সম্ভাবনা অনেক। অনেক জমিও পতিত। এসব জমি কীভাবে চাষের আওতায় আনা যায়, টিলায় কীভাবে কমলা, জাম্বুরা, কফি, কাজুবাদামের চাষ করা যায়, সে বিষয়ে কাজ চলছে। বোরো মৌসুমে সেচ সুবিধা সম্প্রসারণের জন্য ইতোমধ্যে ২২৬ কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে সিলেটের কৃষিতে বিরাট পরিবর্তন আসবে।
মন্ত্রী বলেন, চালের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। সেজন্য, আমরা চালের উৎপাদন বাড়াতে গুরুত্ব দিচ্ছি। আমাদের কৃষি জমি ক্রমশ কমছে। অন্যদিকে সমতল বা অনুকূল পরিবেশের জমির সম্ভাবনাকে আমরা সর্বোচ্চ ব্যবহার করছি। এ অবস্থায়, চালের উৎপাদন বাড়াতে আমরা পাহাড়, হাওর, উপকূলসহ প্রতিকূল এলাকায় ধানের চাষ সম্প্রসারণ করতে পতিত জমি কাজে লাগাতে কাজ করছি।
সভায় সংসদ সদস্য শামীমা শাহরিয়ার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক বেনজীর আলম, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, সিলেট অঞ্চলের ডিএইর অতিরিক্ত পরিচালক দিলীপ কুমার অধিকারী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সিলেট বিভাগের কৃষির সম্ভাবনা ও সমস্যা নিয়ে বক্তব্য উপস্থাপনা করেন উপ-পরিচালক কাজী মজিবুর রহমান।
উপস্থাপনায় জানানো হয়, সিলেট অঞ্চলের সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলায় মোট জমির পরিমাণ ১২ লাখ ৫০ হাজার ৫৩২ হেক্টর। চাষযোগ্য বা ফসলি জমি রয়েছে ৭ লাখ ৬৩ হাজার ২৫৪ হেক্টর। এরমধ্যে এক ফসলি জমিই অর্ধেক ৪৯%। ফসলের নিবিড়তা ১৬০%, যা দেশের অন্য বিভাগের তুলনায় সবচেয়ে কম। অন্যদিকে পতিত জমি ১ লাখ ৯৬ হাজার ৩৯৯ হেক্টর।
জমি পতিত থাকার অন্যতম কারণ মালিকের অনুপস্থিতি। সিলেট অঞ্চলে ১৮% কৃষক ভূমিহীন ও ৩৬% প্রান্তিক। প্রবাসীরা চাষে আগ্রহী নন। এছাড়া, বোরো মৌসুমে সেচের অপর্যাপ্ততা, পানিতে মাত্রাতিরিক্ত আয়রনের উপস্থিতি, আগাম ও আকস্মিক বন্যা, পাহাড়ি ঢল-অতিবৃষ্টি, টেকসই ফসল রক্ষা বাঁধের অভাব, আগাম ও স্বল্পমেয়াদি জাত এসব সমস্যা রয়েছে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com