কোরবানির পশুর হাট একটি জনগুরুত্বস¤পন্ন এলাকা। এখান থেকেই ঈদুল আজহায় কোরবানির জন্য পশু কিনে থাকেন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ। স্বাভাবিকভাবেই সবার প্রত্যাশা থাকে পশুর হাটগুলো থাকবে ঝুঁকিমুক্ত, যাতে ক্রেতাসাধারণ সার্বিক শৃংখলার মধ্যে পশু কিনতে পারেন।
সুনামগঞ্জ শহরের মল্লিকপুর এলাকায় পশুর নয়া হাটে আগামী ২ সেপ্টেম্বর থেকে পশু বিকিকিনি শুরু হবে বলে পত্রিকা পাঠে জানা গেছে। ইতোমধ্যে সুনামগঞ্জ পৌরসভা এ ব্যাপারে প্রস্তুতিও গ্রহণ করেছে। পুলিশ প্রশাসনও বলছে পশুর হাটগুলোতে থাকবে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
নিরাপত্তার ব্যাপারে আমরা আশ্বস্ত হলেও আশঙ্কা থাকে একশ্রেণির অসাধু চক্র অপতৎপরতায়। অসাধু চক্র ওৎ পেতে থাকে বিভিন্ন পশুর হাটে। সুযোগ পেলেই তারা চাঁদাবাজি, জালিয়াতি করে। এরা জাল টাকা গছিয়ে দেয় অসতর্কদের কাছে।
আমরা মনে করি, পশুর হাটে ঝুঁকি কমানোর লক্ষ্যে বেশ কিছু ব্যবস্থা নিতে হবে পুলিশ তথা জনপ্রশাসনকে। প্রথমত, গবাদি পশুর ব্যবসায়ীদের যেহেতু বিপুল অংকের টাকা নাড়াচাড়া করতে হয়, তাই তাদের নগদ অর্থ পরিবহনে পুলিশি সেবা দিতে হবে। দ্বিতীয়ত, ইজারাদারদের জাল টাকা শনাক্তকরণের যন্ত্র সরবরাহ করতে হবে। তৃতীয়ত, ক্রেতাসাধারণকে সতর্ক করার লক্ষ্যে হাট এলাকায় মাইকে ব্যাপক সতর্কতামূলক উপদেশ প্রচার করতে হবে। চতুর্থত, হাট সংশ্লিষ্ট এলাকার চিহ্নিত অপরাধীদের নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সে ব্যাপারে সর্বাত্মক প্রস্তুতি থাকতে হবে।