সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
যুক্তরাষ্ট্রে বিএনপির লবিস্ট নিয়োগে ব্যয়ের বিষয়টি খতিয়ে দেখছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ওই খাতে ব্যয়ের বিষয়টি দলটি ইসিতে জমা না দিলে তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছে এই সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। আগামী বৃহ¯পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিতব্য ৯৩তম সভায় এই বিষয়টি এজেন্ডায় রাখা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, বৃহ¯পতিবারের বৈঠকে ৪টি সুনির্দিষ্ট এজেন্ডা রাখা হয়েছে। তিন নম্বর এজেন্ডায় বিএনপির লবিস্ট নিয়োগ বিষয়ক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর চিঠির বিষয়টি রয়েছে। এতে বলা হয়েছে ‘পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল কর্তৃক বিদেশ লবিস্ট নিয়োগ সংক্রান্ত ব্যয় বিবরণী নির্বাচন কমিশনে দাখিলকৃত অডিট রিপোর্টে উল্লেখ না করলে এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া সংক্রান্ত পত্রের বিষয় কমিশনে উপস্থাপন।’
এছাড়া বৈঠকে মুক্তিযোদ্ধাদের বীর মুক্তিযোদ্ধা খচিত স্মার্ট এনআইডি হস্তান্তরে রাজধানীতে সীমিত পরিসরে অনুষ্ঠান আয়োজন, আরপিওর ইংরেজি ও বাংলা পাঠ এবং নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইন বই আকারে প্রকাশ এজেন্ডায় রয়েছে।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, বৃহ¯পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) কমিশন সভা হবে। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বিএনপির লবিস্ট নিয়োগের ব্যয় নিয়ে একটি ডিও লেটার কমিশনে দিয়েছেন। ওই ডিও লেটারের বিষয়টি এজেন্ডায় আছে।
গত ১৯ জানুয়ারি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম নির্বাচন কমিশন ও বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠি দেওয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানান। শাহরিয়ার আলম বলেন, বিএনপি বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে লবিস্ট নিয়োগে যে চুক্তি করেছে, সেসব চুক্তির কপি নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হয়েছে। কেননা, প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে আয়-ব্যয়ের হিসাব নির্বাচন কমিশনে দাখিল করতে হয়। বিএনপি নির্বাচন কমিশনে এই অর্থের হিসাব দাখিল করেছে কিনা কমিশনকে খতিয়ে দেখতে অনুরোধ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছেও চিঠি পাঠানো হয়েছে। বিএনপি চুক্তির জন্য বিদেশে যে অর্থ পাঠিয়েছে, সেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন রয়েছে কিনা যাচাই করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।
শাহরিয়ার আলম জানিয়েছিলেন, বিএনপি-জামায়াত বিদেশি লবিস্ট নিয়োগে ৮টি চুক্তি করেছে। এরমধ্যে তিনটি চুক্তি করেছে বিএনপি। এই তিন চুক্তিতে বিএনপি ৩.৭৫ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে। বিএনপি অফিসের ঠিকানাও চুক্তির কপিতে উল্লেখ করা হয়েছে। জামায়াতের চুক্তির কপিতে প্রতিষ্ঠানটির ঠিকানা দেওয়া নেই। তবে চুক্তির কপিতে তাদের নাম রয়েছে। গত ১৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ অধিবেশনে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বিএনপি-জামায়াতের লবিস্ট নিয়োগে অর্থ ব্যয়ের বিষয়টি তুলে ধরেন।