স্টাফ রিপোর্টার ::
পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন মামলায় দিরাই উপজেলার বিবিয়ানা কলেজের অধ্যক্ষ নৃপেন্দ্র চন্দ্র দাস গ্রেফতার হয়ে জেলহাজতে থাকায় তাকে দায়িত্ব হতে বরাখাস্তের আবেদন করা হয়েছে। রোববার কলেজ প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের সদস্য মো. জুয়েল আহমদ ও ফজলে রাব্বি কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি বরাবরে এই আবেদন করেন।
আবেদনে তারা উল্লেখ করেন, গত ২৪ জানুয়ারি থেকে কলেজ অধ্যক্ষ পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন মামলায় জেলহাজতে রয়েছেন। মামলা নং ৯৮/২০২০। তিনি সরকারি খাত হতে একজন বেতনভুক্ত কর্মচারী হিসেবে জেলহাজতে থাকাবস্থায় চাকরিবিধি অনুসারে তিনি স্বপদে থাকতে পারেন না। তাই তাকে অধ্যক্ষ পদ থেকে বরখাস্ত করা উচিত। তার বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অডিট রিপোর্টও তারা আবেদনের সাথে সংযুক্ত করেছেন। তারা আবেদনের কপি সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক ও শিক্ষা), জেলা শিক্ষা অফিসারকে প্রেরণ করেছেন।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ১৫ অক্টোবর অধ্যক্ষ ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন মামলটি দায়ের করেন দিরাই উপজেলার একজন নারী। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাযায়, দিরাই উপজেলার বিবিয়ানা মডেল কলেজের অধ্যক্ষ নৃপেন্দ্র চন্দ্র দাসের সাথে মামলার বাদী ওই নারীর প্রেমের স¤পর্ক থাকাকালীন গোপন ক্যামেরায় ধারণ করা অন্তরঙ্গ মুহূর্তের কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করেন। এই ঘটনার পর ২০২০ সালের ১৫ অক্টোবর দুই ভাইকে আসামি করে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন ওই নারী। পরবর্তীতে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেন মামলার দুই আসামি। জামিনের মেয়াদান্তে ২৪ জানুয়ারি দুপুরে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হলে বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।