সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে নিজ বাড়ি ফেরা হলো না ছাতকের জাহাঙ্গীর আলমের। উপজেলার কালারুকা ইউনিয়নের বোবরাপুর গ্রামের রহমত আলীর ছেলে জাহাঙ্গীরের (৪০) মরদেহ তাঁর শ্বশুরালয় কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার পানিপাড়া গ্রাম থেকে বাড়িতে আনা হয়েছে রোববার মধ্যরাতে।
৫ সন্তানের জনক জাহাঙ্গীর আলমের মরদেহের একাধিক স্থানে জখমের চিহ্ন রয়েছে। শ্বশুরবাড়ির লোকজন জাহাঙ্গীর আলম আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি করলেও শরীরে একাধিক স্থানে জখমের চিহ্ন থাকায় রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, গত শুক্রবার স্ত্রী-সন্তানদের বাড়িতে নিয়ে আসতে শ্বশুরালয়ে গিয়েছিলেন জাহাঙ্গীর আলম। পরদিন শনিবার ছোট ভাই আলমগীরকে বড় ভাইয়ের শ্বশুরবাড়ি থেকে মোবাইল ফোনে জানানো হয় জাহাঙ্গীর আলম আত্মহত্যা করেছেন বলে। খবর পেয়ে সেখানে যান ছোট ভাই আলমগীর। কুমিল্লার চান্দিনা থানায় পড়ে থাকা পলিথিনে মুড়ানো জাহাঙ্গীর আলমের লাশটি নিয়ে ছাতকে ফিরে রোববার মধ্যরাতে।
সোমবার বিকেল ৩টায় লাশ গোসল করানোর সময় শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত দেখে ছাতক থানা পুলিশকে বিষয়টি মৌখিকভাবে অবগত করা হয়।
জাহাঙ্গীরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছেন পরিবারের লোকজনসহ স্থানীয় এলাকাবাসী।
তাছাড়া ৩০ এপ্রিল চান্দিনা থানার এসআই জাকির হোসেনের করা সুরতহাল রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে- জাহাঙ্গীরের গলায় ৩ ইঞ্চি পরিমাণ কালো দাহ ¯পট, বাম ও ডান কাঁধে কালো দাগ, ডান হাতের কনুইয়ের উপরে ও নিচে কাটা ও রক্ত বের হচ্ছে।
নিহতের ছোটভাই আলমগীর জানান, বড় ভাইয়ের লাশ আনার সময় ভাবী ও ভাতিজা-ভাতিজির সাথে কথা বলার চেষ্টা করলে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বাধার মুখে তারা তার সামনে আসতে পারেনি।
সোমবার বিকেল ৪টায় নিহত জাহাঙ্গীরের লাশ গ্রামের কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
নিহতের পিতা রহমত আলী জানান, জাহাঙ্গীর আলমের শ্বশুর বাড়ির লোকজন লাশ নিয়ে থানা-পুলিশ বা ঝামেলা না করার জন্য মোবাইল ফোনে হুমকি দিচ্ছে। তিনি এর বিচার চান।
ছাতক থানার ওসি আশেক সুজা মামুন জানান, জাহাঙ্গীর আলম কুমিল্লার চান্দিনা থানা এলাকায় মারা গেছে। নিহতের পরিবার ওই থানায় গিয়ে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।