এক সময়ের ‘ভিলেজ টাউন’ সুনামগঞ্জ এখন আর আগের অবস্থায় নেই। শহর বড়ো হচ্ছে, জনসংখ্যা বাড়ছে দিন দিন। সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে যানবাহন। যানবাহনের চাপে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। নিত্য এই যানজটে বাড়ছে নাগরিক ভোগান্তি। যানজট নিরসনে দ্রুত উদ্যোগ না নিলে ভোগান্তি বাড়তেই থাকবে।
সুনামগঞ্জ শহরের ব্যস্ততম এলাকা আলফাত স্কয়ার, কালীবাড়ি মোড়, মধ্যবাজার, পুরাতন বাসস্টেশন, ডিএস রোড ইত্যাদি। এসব এলাকায় রাস্তা দখল করে ভ্রাম্যমাণ দোকানিরা পসরা সাজিয়ে বসেন। অনেক সময় সড়কের উপর নির্মাণ সামগ্রী ফেলে রাখা হচ্ছে। এতে চলাচলের পথ সংকুচিত হয়ে পড়ে। তাছাড়া সড়কে যানবাহন পার্কিং তো নতুন কিছু না। শহরে বহুতল মার্কেট নির্মাণ হলেও এগুলোর বেশির ভাগেরই নেই পার্কিং ব্যবস্থা। অপরদিকে, শহরের ব্যস্ততম এলাকা পুরাতন বাসস্টেশনে রয়েছে লেগুনা, সিএনজি, কার স্ট্যান্ড। ওই এলাকায় যত্রতত্র গাড়ি থামিয়ে যাত্রী উঠানো-নামানোর চিত্র প্রতিনিয়তই দেখা যায়। যার ফলে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজটের। একই এলাকায় রয়েছে ঢাকাগামী বিভিন্ন বাসের কাউন্টার। সন্ধ্যার পরপরই শুরু হয় এসব গাড়ি পার্কিং এবং যাত্রী উঠানোর কার্যক্রম। ফলে চলাচলে ভোগান্তিতে পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে। এই ভোগান্তির কোনো সীমা নেই। মানুষ কতটা দুর্ভোগের সম্মুখীন হচ্ছে তা একমাত্র ভুক্তভোগীরা টের পেয়ে থাকেন। কিন্তু উদ্বেগের বিষয় হল- ট্রাফিক পুলিশ এসব দেখেও যেন দেখে না। এ ব্যাপারে তাদের তৎপরতা লক্ষ করা যায় না।
পৌর শহরের অভ্যন্তরের এই সিএনজি-লেগুনা-কার স্ট্যান্ডকে যানজটের অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে দেখছেন সচেতন নাগরিকরা। আমরা লক্ষ করছি পুরাতন বাসস্টেশন এলাকার যানজট অনেক সময় আলফাত স্কয়ার পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। যানজটের ভোগান্তি নিরসনে পৌরসভা, জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসনের সমন্বিত উদ্যোগ এখন জরুরি হয়ে পড়েছে। আমরা মনে করি, সমন্বিত এবং পরিকল্পিত ব্যবস্থা না নিলে সুনামগঞ্জ শহরের যানজট নিরসন সম্ভব নয়। নাগরিক দুর্ভোগ লাঘবে এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের দ্রুত উদ্যোগ প্রত্যাশা করেন নাগরিকরা। আমরাও আশা করি, সড়কগুলো দখলমুক্ত করে জনসাধারণের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে দ্রুত উদ্যোগ নেয়া হবে এবং পুরাতন বাসস্টেশন এলাকার যানবাহন স্ট্যান্ডগুলো পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্র থেকে দূরে সরাতে কর্তৃপক্ষ তৎপর হবেন।