হোসাইন আহমদ ::
আগামী ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় নির্বাচনকে সামনে রেখে শান্তিগঞ্জের ৮টি ইউনিয়ন পরিষদের প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। প্রতীক পেয়ে নির্বাচনী প্রচারে মাঠে নেমেছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। উৎসবমুখর পরিবেশে পথসভা ও গণসংযোগে নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন তারা। গ্রামে, পাড়া-মহল্লা ও হাটে-বাজারের চায়ের দোকানে বইছে ভোটের আমেজ।
শান্তিগঞ্জ উপজেলার ৮ ইউপিতে ৪৩ জন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী, সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৯৫ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৩৪৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। প্রতীক বুঝে পাওয়া এসব প্রার্থীর সমর্থনে মাইকিং ও পোস্টার লাগানোর হিড়িক পড়েছে।
রোববার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, পোস্টারে ছেয়ে গেছে উপজেলার ৮টি ইউপির বিভিন্ন হাট-বাজার ও রাস্তাঘাট। নির্বাচনে আওয়ামী লীগে মনোনীত প্রার্থীর চেয়ে অন্তত ৪ গুণ বেশি স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন। তাঁরা মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাইছেন। হাট-বাজারে ও পাড়া-মহল্লায় ঝুলছে তাঁদের পোস্টার। দুপুরের পর থেকে চলছে মাইকে গানের সুরে সুরে ভোট প্রার্থনা।
শান্তিগঞ্জ উপজেলার জয়কলস গ্রামের রোকন উদ্দিন জানান, এবারের ইউপি নির্বাচনটি কম সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। প্রার্থীরা এই কম সময়ের মধ্যে তাঁদের সবার বাড়ি বাড়ি পৌঁছাতে নির্বাচনী কৌশল বদল করে স্ত্রী, ছেলে ও আত্মীয়স্বজনকে দিয়েও প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
শান্তিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ স¤পাদক নুরুল হক বলেন, গত শুক্রবার (১২ নভেম্বর) প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এরপর থেকে বিভিন্ন হাট-বাজারে, চা-স্টলে চলছে নির্বাচনী মুখরোচক আলাপ আলোচনা। ডিজিটাল প্রচার, বিভিন্ন ধরনের গান, গণসংযোগ, প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরিসহ সব চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার রেজাউল করিম জানান, নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে প্রার্থীদের প্রচারণা চালানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।