মো. শাহজাহান মিয়া ::
সাংস্কৃতিক প্রতিমন্ত্রী কে.এম খালিদ বলেছেন, বাংলাদেশের লোক সংস্কৃতি যারা সমৃদ্ধ করেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম বৈষ্ণব কবি রাধারমণ দত্ত, মরমী কবি হাসন রাজা, বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিম ও দূরবীন শাহ। সুনামগঞ্জ লোক সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছে। এসব গুণী সাধকদের সৃষ্টি ও স্মৃতিকে আরও বেশি বেশি গণমানুষের কাছে পৌঁছে দিতে আমরা একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছি।
শনিবার দুপুরে জগন্নাথপুর উপজেলার রাধারমণ স্মৃতি কেন্দ্র পরিদর্শন ও সুধী সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী কে.এম খালিদ আরও বলেন, এরমধ্যে দুইজনের নাম উল্লেখিত রয়েছে একজন হলেন, বৈষ্ণব কবি রাধারমণ দত্ত আর অন্যজন হলেন বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিম। আমরা রাধারমণের বেদখলকৃত স¤পত্তি চিহ্নিত করে লাল পতাকা টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় রাধারমণের স্মৃতি রক্ষার্থে তার জায়গায় রাধারমণ কমপ্লেক্স নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যেই নকশা প্রণয়ন হয়ে গেছে। আমি আশাবাদী আগামী জুন মাসেই নতুন ঘোষণা নিয়ে আবারও আসবো এবং দ্রুত রাধারমণ কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে।
জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাজেদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং শিক্ষিকা সালেহা পারভিন ও ওয়ার্ড আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক জামিল আহমদের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ স¤পাদক অ্যাডভোকেট শামসুল আবেদীন, জগন্নাথপুর উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রিজু, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বিজন কুমার দেব, জেলা কালচারাল অফিসার আহমেদ মঞ্জুরুল হক চৌধুরী পাভেল, জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক স¤পাদক মুক্তাদির আহমদ মুক্তা, আন্তর্জাতিক রাধারমণ পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অ্যাডভোকেট দেবদাস চৌধুরী রঞ্জন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অনুপম দাস, সহকারী পুলিশ সুপার (জগন্নাথপুর সার্কেল) শুভাশীষ ধর, জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী, উপজেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি আবদুল কাইয়ূম মশাহিদ, প্রচার সম্পাদক হাজী আবদুল জব্বার, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তাদির আহমদ মুক্তা, সাবেক ভারপ্রাপ্ত পৌর মেয়র শফিকুল হক, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন, বর্তমান প্যানেল মেয়র সাফরোজ ইসলাম মুন্না, রাধারমণ পরিষদের সভাপতি জিলু মিয়া, সহ-সভাপতি আছকির আলী, যুগ্ম-সম্পাদক রমজান আলী, টুনু মিয়া, সাবেক পৌর কাউন্সিলর ও রাধারমণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তাজিবুর রহমান, লিটন মিয়া, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুল মুকিতসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নেতৃবৃন্দ।