ধর্মপাশা প্রতিনিধি ::
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ধর্মপাশা উপজেলার সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকাল ১১টায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. আরফান আলী তালুকদার। সভায় ওই ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ বিলকিস, সহ-সভাপতি ফখরুল ইসলাম চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মজিবুর রহমান ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ আলী আকবরের নাম প্রস্তাব করেন। এসব প্রস্তাবিত নাম যাচাই-বাছাইয়ের জন্য উপজেলা কমিটিতে পাঠানো হবে। প্রার্থীদের নাম প্রস্তাব শেষে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ বিলকিস, সাংগঠনিক সম্পাদক মুজিবুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক গোলাম আযহারুল ইসলাম পিকে।
শামীম আহমেদ বিলকিস ১৯৮৬ সালে ধর্মপাশা উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। এরপর ১৯৮৯ সালে ধর্মপাশা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৮৮-৮৯ সালে মোহনগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ ছাত্র সংসদের এজিএস, ১৯৮৯ সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ১৯৯১-৯৩ ধর্মপাশা উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক, ১৯৯৩-৯৮ পর্যন্ত ধর্মপাশা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি, ১৯৯৭-২০১৪ পর্যন্ত ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৪ থেকে অদ্যাবদি পর্যন্ত ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি ২০১১ সালের ইউপি নির্বাচনে ৩০ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন। এছাড়াও তিনি ২০১৪ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও অংশগ্রহণ করেছিলেন।
সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল হেকিম চৌধুরীর ছেলে মো. ফখরুল ইসলাম চৌধুরী সদর ইউনিয়ন পরিষদের দুইবারের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি মোহনগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ শাখার ছাত্রসংসদের সাবেক জিএস ছিলেন। বর্তমানে তিনি ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
মজিবুর রহমান উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও নেত্রকোণা সরকারি কলেজ শাখার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে গুরুত্বের সাথে রাজনৈতিক দায়িত্ব পালন করেছেন।
শাহ আলী আকবর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক, উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা লীগের সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুজিবুর রহমান বলেন, নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী বাচাই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যদি সঠিক বা যোগ্য প্রার্থী বাচাই করা না যায় তাহলে দলীয় মনোয়ন পাওয়ার পরেও প্রার্থী পরাজিত হতে পারে।
সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. আরফান আলী তালুকদার বলেন, ‘বর্ধিত সভায় শামীম আহমেদ বিলকিসের প্রতি উপস্থিত ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতাদের সর্বোচ্চ সংখ্যক সমর্থন ছিল।’