কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মতিউর রহমান দুলাল-এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান এমপি শিক্ষকদের দাবির সাথে একাত্মতা পোষণ করে বলেন, অল্প সময়ের মধ্যেই বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের সকল সমস্যার সমাধান করা হবে ইনশাআল্লাহ।
পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান আরও বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ একটি যৌক্তিক দাবি। এমপিওভুক্তিতে শিক্ষক-কর্মচারীরা যে অর্থ পান, তা দিয়ে তাদের পরিবার চালাতে কষ্ট হয়। সেটি নজরে এসেছে, এ বিষয়ে আমরা কাজ করছি। এতে কত টাকার প্রয়োজন, তা হিসাব-নিকাশ করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব পাঠানো হবে। তিনি শিক্ষকদের বিষয়ে অনেক আন্তরিক।
মন্ত্রী এমএ মান্নান আরও বলেন, দেশের প্রায় সব স্থানে যত্রতত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে। শিক্ষাব্যবস্থাকে সবার দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সময়ের প্রয়োজনে এটা করা হয়েছে। বর্তমানে সময় এসেছে সেগুলো গুছিয়ে নেওয়ার।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান প্রগতিশীল ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কাজ করা সরকারকে সরিয়ে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তি দেশের ক্ষমতায় বসতে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। সবার চেষ্টায় তাদের হটাতে হবে।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শিক্ষাবিদ ও গবেষক অধ্যক্ষ ড. মশিউর রহমান মৃধা। বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ও বাংলাদেশ মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতি, সুনামগঞ্জ জেলা সভাপতি মোঃ রুহুল আমিন, কেন্দ্রীয় মহাসচিব ঢাকা গেন্ডারিয়া উচ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ রফিকুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ঢাকা জিনজিরা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আবু রায়হান, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির মহাসচিব মোঃ জসীম উদ্দিন, শিক্ষক নেতা অরূপ সাহাসহ মহাজোটের শিক্ষক নেতৃবৃন্দ।
উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব জহিরুল ইসলাম, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কমিটির মহিলা সম্পাদিকা ঢাকা কাজী জাফর আহমদ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক নেত্রী শ্যামলী আহমদ,কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাংলাদেশ মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতি সুনামগঞ্জ জেলা সাধারণ সম্পাদক উস্তার আলী, কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম প্রচার সম্পাদক ও বাংলাদেশ মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক মোঃ শাহ আলম প্রমুখ।