পীর জুবায়ের ::
শারদীয় দুর্গা উৎসবে সনাতন ধর্মাবলম্বী পরিবারগুলোয় থাকে কেনাকাটার ধুম। পূজায় সবার চাই নতুন জামাকাপড়, শাড়ি ও প্রসাধনী। উৎসবের আমেজের এমন চাহিদায় জমজমাট ক্রেতার ভিড় জমতো বিপণিবিতানে। কিন্তু এবার করোনার প্রভাবে নেই সে আমেজ। রোববার সুনামগঞ্জ জেলা শহরের সুরমা মার্কেট, নেজা প্লাজা, লন্ডন প্লাজাসহ বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা যায় ক্রেতাশূন্যতায় অলস সময় পার করছেন দোকানিরা।
শহরের সুরমা মার্কেটের কাপড় ব্যবসায়ী সুচিত্রা বস্ত্র বিতানের ম্যানেজার পিংকু দাশ বলেন, পূজায় অন্যান্য বছর এই সময়ে যে পরিমাণ কাপড় বিক্রি হতো তার এক ভাগও বিক্রি হচ্ছে না এবার। করোনার কারণে মানুষের যেমন স্বাস্থ্যঝুঁকির ভয় আছে, তেমনি অর্থনৈতিক মন্দাও রয়েছে। করোনা ঝুঁকির কারণে অনেকেই নতুন জামাকাপড়সহ প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করেছেন অনলাইন মার্কেট থেকে।
একই সুরে কথা বলছেন ক্রেতারা। করোনা ঝুঁকি আর অর্থনৈতিক মন্দায় পূজায় তেমন কেনাকাটার আনন্দ নেই। সৌমিত্র দেবনাথ বলেন, করোনায় আয়-রোজগার কমেছে। সামর্থ্য না থাকায় পূজায় কেনাকাটা কমেছে। তিনি বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার অর্ধেক কেনাকাটা করতে হচ্ছে। আমার মতো অবস্থা অনেকেরই। আবার অনেকেই করোনার কারণে পূজার কেনাকাটা করেছেন অনলাইন মার্কেটে।
সুশান্ত দাশ বলেন, পূজা এলে নতুন জামাকাপড় কেনার একটা তাগিদ থাকত। অন্যান্য বছর এ সময়টাতে বাজারে বিভিন্ন দোকান ঘুরে পছন্দের কাপড় কিনতাম। কিন্তু করোনা ঝুঁকির কারণে বাজারে না গিয়ে অনলাইন মার্কেটে কেনাকাটা করেছি।
জেলায় এবার ৪১৯টি মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হচ্ছে দুর্গাপূজা। তার মধ্যে ৪০৫টি সর্বজনীন আর ১৪টি ব্যক্তিগত। করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে উৎসব পালনের প্রস্তুতি চলছে সব মণ্ডপে।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ স¤পাদক বিমল বণিক জানান, জেলা প্রশাসন প্রতিটি মণ্ডপে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূজা আয়োজনের নির্দেশনা দিয়েছে। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকারি এবং কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক নির্দেশনা মেনে এবারের পূজা উদযাপিত হবে।