স্টাফ রিপোর্টার ::
বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদ বীরপ্রতীকের (৭০) নামাজের জানাজা স¤পন্ন হয়েছে। শনিবার ভোর পাঁচটায় দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের টেংরাটিলায় (আজবপুর) নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ২ ছেলে ও ৪ মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযোদ্ধে অংশগ্রহণ করে যুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদান রাখায় ‘বীর প্রতীক’ খেতাবপ্রাপ্ত হন এই বীর যোদ্ধা।
শনিবার বিকেল পাঁচটায় টেংরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আব্দুল মজিদ বীরপ্রতীকের নামাজের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার আগে প্রশাসনের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। এরআগে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান মাস্টারের পরিচালনায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফয়সাল আহমেদ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলী বীরপ্রতীক, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হালিম বীরপ্রতীক, লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিরুল হক, সুরমা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খন্দকার মামুনুর রশীদ, বোগলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম জুয়েল, অ্যাডভোকেট নাজমুল হুদা হিমেল, আব্দুল মজিদ বীরপ্রতীকের বড় ছেলে মেজবাউল গণি সুমন প্রমুখ।
বক্তব্যে বক্তারা বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদ ছিলেন একজন আলোকিত মানুষ ছিলেন। তিনি শুধু ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে বীরত্বপূর্ণ অবদানই রাখেননি, স্বাধীনতা পরবর্তীতে দেশ পুনর্গঠনে অবদান রেখেছে। আমৃত্যু দেশের উন্নয়নে কাজ করেছেন। তাঁর শূন্যতা অপূরণীয়।