স্টাফ রিপোর্টার ::
দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আব্দুর রহিম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ইন্তোকাল করেছেন। বৃহস্পতিবার বেলা ৩ টা ২০ মিনিটে সিলেটের শহীদ শামসুুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। ডা. আব্দুর রহিমের মৃত্যুতে এলাকায় শোকে ছায়া নেমে এসেছে।
তিনি উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের লাস্তবেরগাঁও গ্রামের বাসিন্দা। মৃত্যুকালে স্ত্রী, ৩ ছেলে ও ২ মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন তিনি। তাঁর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তিনি করোনা পজিটিভ ছিলেন এবং দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জনিত সমস্যায় ভোগছিলেন।
উল্লেখ্য, আব্দুর রহিম ছিলেন দোয়ারাবাজার পরিষদের প্রথম প্রতিষ্ঠা চেয়ারম্যান। ১৯৮৫ থেকে ৯০ সাল পর্যন্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকাবস্থায় তাঁর হাত ধরে উপজেলার ব্যাপক উন্নয়ন কাজের সূচনা হয়। দোয়ারাবাজার উপজেলার প্রথম এমবিবিএস ডাক্তার তিনি। ছাত্রজীবনে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন তিনি। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের ডিংরাই ইয়ুথ ক্যা¤প ও শরণার্থী শিবিরের চিকিৎসকের দায়িত্ব পালন করেন ডা. আব্দুর রহিম। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি ১৯৭৯ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। সর্বশেষ ২০১৯ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীকে ৩১০৪৮ ভোট পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি।
তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান এমপি, পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ এমপি, মুহিবুর রহমান মানিক এমপি, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নূরুল হুদা মুকুট, জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খায়রুল হুদা চপল, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নোমান বখত পলিন, সাবেক এমপি কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন, ছাতক পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম চৌধুরী প্রমুখ।