স্টাফ রিপোর্টার ::
‘ধর্মীয় উস্কানি প্রদানের’ অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় ৬ মাসের বেশি সময় কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন শাল্লার ঝুমন দাশ আপন। বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্ট থেকে শর্তসাপেক্ষে জামিন হয় তার। আদালত থেকে জামিন আদেশের সত্যায়িত কপি আসার পর মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে সুনামগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে মুক্ত হন তিনি।
কারাগার থেকে বের হয়ে তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের জন্য ৩ হাজার ৫৩ দিন জেল খেটেছিলেন। আমিও ২০০ দিন জেলে ছিলাম। মিডিয়ার ভাইয়েরা আমার জন্য কষ্ট করেছেন। সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আমার শুভাকাক্সক্ষী, ছাত্রলীগের অসংখ্য ভাই ও বোনেদের ধন্যবাদ জানাই। তিনি আরও বলেন, আমি অনেকটাই অসুস্থ। যারাই আমার জন্য পরিশ্রম করেছেন তাদের সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
এদিকে, ঝুমন দাশের স্বজন ও শুভাকাক্সক্ষীরা তাকে কারাফটকে ফুল দিয়ে বরণ করেন।
উল্লেখ্য, গত মার্চে হেফাজতে ইসলামের তৎকালীন কেন্দ্রীয় নেতা মামুনুল হককে নিয়ে ফেসবুকে ‘আপত্তিকর পোস্ট দিয়ে ধর্মীয় উস্কানি’ প্রদানের অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার হন ঝুমন দাশ। এই পোস্টের জেরে গত ১৭ মার্চ সকালে মামুনুল অনুসারীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় হিন্দু অধ্যুষিত ঝুমন দাশের নোয়াগাঁও গ্রামে। তারা নিরীহ হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্তত ৯০টি বাড়িঘর ভাঙচুর করে। এই ন্যাক্কারজনক হামলা বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রতিবাদ হয় দেশজুড়ে।
এদিকে, ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ধর্মীয় উস্কানির অভিযোগে ১৬ মার্চ ঝুমন দাশকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।