স্টাফ রিপোর্টার ::
দোয়ারাবাজার উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের নরসিংপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে খেলাধুলা করতে পারছেনা শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘদিন ধরে ঠিকাদারের বালু, রড ও কাটা পাথরের দখলে খেলার মাঠ। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্রীড়া বিনোদনে ব্যাঘাত ঘটছে।
শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে স্কুলের পার্শ্ববর্তী সেতু নির্মাণকাজ চলমান থাকায় সব ধরনের যানাবাহন চলাচল করছে স্কুলের মাঠের ভেতর দিয়ে। ফলে মাঠের চারপাশে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। অনেক জায়গায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এতে হেটে চলাফেরা করাও মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া মাঠে ঠিকাদারের মালামাল থাকায় শিক্ষার্থীরা নির্বিঘ্নে খেলাধুলা করতে পারছে না।
স্থানীয় বাসিন্দা ফখর উদ্দিন বলেন, খেলাধুলা করাতো দূরের কথা হেঁটে চলাচল পর্যন্ত করা যাচ্ছে না। মাঠ থেকে ব্রিজ নির্মানের সামগ্রী সরিয়ে মাঠটি দ্রুত ভরাট করে খেলাধুলার উপযোগী করা জরুরি।
নরসিংপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি মনোয়ার আলী মনর বলেন, স্কুল বন্ধ হওয়ার পর থেকে মাঠে ব্রিজ নির্মানের রড, পাথর, বালিসহ যাবতীয় মালামাল রাখা হচ্ছে। এমনকি গাড়ি চলাচলের রাস্তাও করে দেওয়া হয়েছে স্কুলের মাঠের ভিতর দিয়ে। মাঠ দিয়ে যানাবাহন চলাচল করায় মাঠজুড়ে গর্ত তৈরি হয়েছে। কাটা পাথর আর রডের কারণে মাঠ ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। কিছুদিন আগে ইউএনও মহোদয়কে বিষয়টি অবগত করা হলে তিনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে মাঠে মাটি ভরাটের নির্দেশ দেন। কিন্তু এখনো পর্যন্ত মাটি ভরাটের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
নরসিংপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আয়েশা আক্তার বলেন, স্কুল বন্ধ হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন নির্মাণসামগ্রী দিয়ে মাঠ ভরে রেখেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। অন্যদিকে মাঠ দিয়ে যানাবাহন চলাচল করায় গর্ত তৈরি হয়েছে। একদিকে গর্ত আরেকদিকে পাথরের কনায় বিনষ্ট হচ্ছে বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণ। মাঠ ভরাট করার মতো পর্যাপ্ত আর্থিক ফান্ড আমাদের নেই। বিদ্যালয়ের এই একমাত্র খেলার মাঠটি দ্রুত ভরাটের দাবি জানাই।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মিলন বাবু বলেন, স্কুল বন্ধ থাকার সময়ে সেখানে কাটা পাথর, রড ও বিভিন্ন সামগ্রী সেখানে ছিল। তবে প্রতিষ্ঠান খোলার আগে আমাদের মালামাল সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। মাঠে এখন আমার কিছু নেই। তাছাড়া ইউএনও মহোদয় ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার উপস্থিতিতে স্কুলের মাঠে মাটি ভরাটের জন্য ১০ হাজার টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। স্কুল পরিচালনা কমিটি যখন প্রয়োজন মনে করবে আমি দিয়ে দেবো।