স্টাফ রিপোর্টার ::
দোয়ারাবাজারে পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে গ্রাহকদের। দিনের মধ্যে অর্ধেক সময় বিদ্যুৎবিহীন থাকে। এছাড়া বিদ্যুৎ লাইন, ট্রান্সফরমার ও খুঁটির যেকোনো সমস্যা দেখা দিলে তাৎক্ষণিক কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয় না বলেও অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় বিদ্যুৎ গ্রাহকরা জানান, বিদ্যুৎ গোলযোগের অভিযোগ জানাতে কেন্দ্রে ফোন দিলে সমস্যা সমাধানে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হয় না। সমস্যা সমাধানের আশায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা এমনকি দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে। দিনের অধিকাংশ সময়ই বিদ্যুৎ থাকে না। রাতেও ঘনঘন লোডশেডিং হয়। এতে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটছে। অসুস্থ মানুষ, শিশু ও বয়োবৃদ্ধরা গরমে কষ্ট ভোগ করছেন।
উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের চাইরগাঁও গ্রামের বাসিন্দা সোহেল মিয়া বলেন, বিদ্যুৎ উদ্বোধনের প্রথমদিকে ভালো সেবা দিলেও কয়েকদিন যাবত শুধু বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করছে। একনাগাড়ে ১ ঘণ্টা বিদ্যুৎ ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
বাংলাবাজারের ব্যবসায়ী আবুবকর বলেন, দিনের বেশির ভাগ সময়ই বিদ্যুৎ থাকে না। ব্যবসার কাজে ব্যাঘাত ঘটছে। আমরা দ্রুত এই বিদ্যুৎ সমস্যার নিরসন চাই।
দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি নিজেও পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে চরম ভোগান্তির শিকার। এই সমস্যা সমাধানে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।’
সুনামগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম সুদীপ কুমার বিশ্বাস বলেন, ভৌগোলিক অবস্থানগত সমস্যা ও নাজুক যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে রাতে কোন এলাকা থেকে অভিযোগ হলে তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট এলাকায় যাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে। ফলে সেবা দিতে বিলম্ব হয়। দোয়ারাবাজার উপজেলার গ্রাম এলাকার গাছ ও বাঁশ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নের প্রধান কারণ। বিদ্যুৎ লাইনে বাঁশ, গাছ পড়ে প্রায়ই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। এসব সমস্যা দ্রুত নিরসনের লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।