স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জে আগামী বোরো মওসুমে বোরোধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে দিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। গত মওসুমের চেয়ে এ মওসুমে চার হাজারেরও বেশি হেক্টর জমি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা কমে গেছে। পরিসংখ্যান অধিদপ্তরের স্যাটেলাইট পর্যবেক্ষণের কারণে লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আবাদের লক্ষ্যমাত্রা বেশি দিয়েছিল বলে সূত্রের দাবি।
সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে করোনাকালেও বাম্পার ফলন হয়েছে জেলায়। প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখে পড়েনি ফসল। গত মওসুমে জেলায় ২ লাখ ২৩ হাজার ৩৩০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছিল। এ থেকে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার ধান উৎপাদন হয়েছে। তবে এবার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে দেওয়ায় ২ লাখ ১৯ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে কৃষি বিভাগ আবাদের যে লক্ষ্যমাত্রা পেয়েছে তা পূরণে মাঠে কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছে।
বিশেষ সূত্রে জানা গেছে, কৃষি বিভাগ দীর্ঘদিন ধরে আবাদের তুলনায় বেশি আবাদ লক্ষ্যমাত্রা পূরণের প্রতিবেদন দিতো সরকারকে। এতে সন্দেহ দেখা দেয়। তাই সরকার পরিসংখ্যান অধিদপ্তরকে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেয়। সরকারের নির্দেশে সারাদেশে বোরো, আমনসহ অন্যানা মওসুমের ফসলের তথ্য স্যাটেলাইট ক্যামেরা ব্যবহার করে সংগ্রহ করে পরিসংখ্যান অধিদপ্তর। তারা সারাদেশের কৃষি আবাদের প্রকৃত পরিসংখ্যান প্রদানের পর এই প্রতিবেদন কৃষি মন্ত্রণালয়কে প্রেরণ করে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সারাদেশের ন্যায় সুনামগঞ্জেও এবার বোরো আবাদ লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে দিয়েছে। যার ফলে কৃষি বিভাগের হিসেব মতে এ মওসুমে জেলায় চার হাজারের বেশি হেক্টরের জমিতে বোরো আবাদ হবে না।
সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. ফরিদুল হাসান বলেন, চলতি বোরো মওসুমে চার হাজার হেক্টরের চেয়ে বেশি জমিতে গতবারের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম আবাদ হবে। তবে যেটুকু আমরা পেয়েছি সেটুকু আবাদ করতে কৃষি বিভাগ মাঠে নেমেছে। লক্ষ্যমাত্রা পূরণে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।