1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ০১:৩৯ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

শাহ আরেফিন-অদ্বৈত মৈত্রী সেতু : খুলবে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১

বিশেষ প্রতিনিধি ::
তাহিরপুর উপজেলার যাদুকাটা নদীর উপর কোনো সেতু না থাকায় নদী পার হতে গিয়ে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয় হাজার হাজার মানুষকে। তবে যাদুকাটা নদীতে শাহ আরেফিন (র.) – অদ্বৈত মৈত্রী সেতু নির্মাণকাজ শেষ হলে যাদুর ছোঁয়া লাগবে; অপার সম্ভাবনার নতুন দুয়ার।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের যাদুকাটা নদীর উপর নির্মাণাধীন সেতু চালু হলে তিনটি শুল্ক বন্দর (বড়ছড়া, চারাগাঁও, বাগলী) স্থলবন্দর থেকে কয়লা, চুনাপাথর পরিবহন, পর্যটন স্পট শিমুল বাগান, শহীদ সিরাজ লেক, বারেকটিলা, টাঙ্গুয়ার হাওরে প্রতিদিনই হাজার হাজার পর্যটক ও ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন যানবাহনে করে সহজে আসতে পারবেন। তাহিরপুর, ধর্মপাশা, মধ্যনগর উপজেলার সীমান্ত সড়ক দিয়ে জেলা সদরের সাথে ধর্মপাশা, নেত্রকোণা, ময়মনসিংহ হয়ে ঢাকার সাথে যোগাযোগ সহজ হবে।
এলাকাবাসী দীর্ঘ সময় ধরে যাদুকাটা নদীর উপর সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন সংসদে এই জনদাবি জোরালোভাবে উত্থাপন করেন। দাবির প্রেক্ষিতে সরকার যাদুকাটা নদীর উপর সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। আনুষ্ঠানিকভাবে যাদুকাটা নদীর উপর ‘শাহ আরেফিন ও অদ্বৈত মহাপ্রভু’ নামে সেতু নির্মাণ করছে সরকার। ফলে সেতুটি চালুর পর এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন হবে বলে আশা সর্বমহলের।
তাহিরপুর উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয় সূত্রে জানাযায়, ৭৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটি নির্মাণে ব্যয় হবে ৮৫ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। নির্মাণকাজ পেয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তমা কনস্ট্রাকশন। ২০১৮ সালের মার্চ মাসে সেতুর নির্মাণকাজ শুরু করে ৩০ মাসের মধ্যেই এই সেতুটির কাজ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু নির্মাণকাজের মেয়াদ শেষ হলেও সেতুটির ৭০শতাংশ কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। সেতুর ১৪টি পিলারের মধ্যে ৪টির কাজ এখনও বাকি। ৭৫টি গার্ডারের মধ্যে ৩৫টি নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়াও ব্রিজের অন্যান্য কাজ চলমান রয়েছে।
বাদাঘাট বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাসুক মিয়া জানান, বর্ষায় নৌকা এবং শুষ্ক মৌসুমে পায়ে হেঁটে বা মোটরসাইকেল ছাড়া যোগাযোগের বিকল্প কোনো ব্যবস্থা নেই। যাদুকাটা নদীর উপর সেতু নির্মাণকাজ শেষ হলে যাদুর ছোঁয়া লাগবে। পর্যটনসমৃদ্ধ উপজেলা হিসেবে আরও ব্যাপকভাবে পরিচিতি পাবে তাহিরপুর।
বাদাঘাট ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন বলেন, যাদুকাটা নদীর উপর সেতু নির্মাণ শেষ হলে তিনটি স্থলবন্দর ও পযর্টন স্পটগুলোর জন্য উপজেলা অধিক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। এলাকার যোগাযোগ ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে।
তাহিরপুর উপজেলা প্রকৌশলী মো. ইকবাল কবির বলেন, বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় জনদুর্ভোগ লাঘবে যাদুকাটা নদীতে নির্মাণাধীন এই সেতুটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এলাকার ব্যাপক পরিবর্তন হবে। আশা করি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই সেতুর কাজ শেষ হবে। আর কাজ শেষ হলেই জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুণাসিন্ধু চৌধুরী বাবুল বলেন, দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্নের প্রতিফলন যাদুকাটা নদীতে নির্মাণাধীন সেতু। যাদুকাটা নদীর উপর সেতু নির্মাণ সম্পন্ন হলে এই এলাকায় এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন হবে। পর্যটকদের আগমন ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি এলাকার বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানসহ এলাকায় যুগান্তকারী পরিবর্তন সাধিত হবে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com