সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
স্বাধীনতার স্থপতি ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজ, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতির জনকের ৭ মার্চের ভাষণের আঙ্গুল উঁচানোর ভাস্কর্য স্থাপনের জন্য বলেছেন আদালত। এছাড়া ভাস্কর্য স্থাপনের জন্য একটি কমিটি করতে বলা হয়েছে।
বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতির এফআরএম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি শাহেদ নূর উদ্দীনের বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন রিটকারী আইনজীবী ড. মো. বশির আহমেদ।
২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বশির আহমেদের একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এ আদেশ দেন। হাইকোর্ট আদেশে ভাষণটিকে পাঠ্যসূচিতে অনমশর্ভুক্ত করতে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করতে বলেছে সরকারকে।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুঠমঠাহ-আল-মাহমুদ বাশার বলেন, বিশেষজ্ঞ কমিটি নির্ধারণ করবে এই ভাষণ কীভাবে পাঠ্যসূচিতে অনমশর্ভুক্ত হবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঢাকায় তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে ঐতিহাসিক ভাষণে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেন। তার সেই ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।
অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন বলেন, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণটি পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করতে বলেছেন আদালত। তবে সেটি এসএসসি, এইচএসসি না উচ্চ শিক্ষায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে, তার জন্য একটি কমিটি করতে বলেছে। কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী তা নির্ধারণ করতে বলেছে।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার বলেন, আদালত নির্দেশ দিয়েছেন। এখন এটা কোন পর্যায়ে হবে কীভাবে হবে, সেটা একটা শিক্ষা বিশেষজ্ঞ কমিটি নির্ধারণ করে দেবে। সরকার কমিটি গঠন করে দিলে এতে সংযোজন বিয়োজন করে আদালত চূড়ান্ত করবে। পরে রিটেন জাজমেন্টে যে সময়সীমা দিবেন সে অনুযায়ী তা করা হবে।