স্টাফ রিপোর্টার ::
এলাকার জনগণ যাতে তাদের মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পর্কে জানতে পারে সেজন্য মুক্তিযোদ্ধাদের নামে স্থানীয় সড়ক এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নামকরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন সাবেক নৌমন্ত্রী ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি শাজাহান খান এমপি। তিনি বলেছেন, এ লক্ষে সরকার কাজ করছে।
মঙ্গলবার সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সুনামগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন এমপি শাজাহান খান। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার হাজী নূরুল মোমেন। বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবিএম সুলতান, বীর মুক্তিযোদ্ধা খুরশেদ আলম, সদর উপজেলা কমান্ডার আব্দুল মজিদ প্রমুখ। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জয়নাল আবেদীন, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ এবং তাদের সন্তানরা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি শাজাহান খান আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আন্তরিক। তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের মন থেকে শ্রদ্ধা করেন। আর সেজন্য মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা ১২ হাজার থেকে বাড়িয়ে ২০ হাজার টাকা করা হয়েছে।
এর আগে জেলার সকল উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারদের বিভিন্ন দাবির কথা শুনে সেগুলো লিখিত আকারে ফাইল করে দেয়ার কথা বলেন এমপি শাজাহান খান।
দাবিগুলোর প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, সরকারি যেসকল খাস জমি রয়েছে তাতে যেন অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসনের ব্যবস্থা করে দেয়া হয় এ বিষয়ে প্রধানমনন্ত্রীর কাছে দাবি রাখবো। সুনামগঞ্জসহ সারাদেশে যেসব রাজাকারের নাম মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় এসেছে খুব শীঘ্রই এসব নাম সরিয়ে দিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। রাজাকারদের স্থান মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে হবে তা মেনে নেওয়া যাবে না।
শাজাহান খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী সবসময় মুক্তিযোদ্ধাদের কথা চিন্তা করেন। এজন্য তিনি দেশের ২২টি হাসপাতালে মুক্তিযোদ্ধাদের ফ্রি সেবা নেয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। পাশাপাশি সকল সরকারি হাসপাতালে মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা নিতে কেবিন বরাদ্দ রেখে দিয়েছেন। যাতে করে মুক্তিযোদ্ধারা যেকোনো সময় চিকিৎসা নিতে পারেন।