1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ১২:১৪ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

আর্থিক সহায়তা প্রদান : বাউলদের পাশে জেলা পরিষদ

  • আপডেট সময় বুধবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার ::
বাউল সাধক মকরম আলী শাহ’র বয়স এখন প্রায় শত বছর। জেলার সবচেয়ে প্রবীণ বাউল তিনি। লাঠিতে ভর দিয়ে হাঁটেন। দীর্ঘদেহী এই বাউল নাতি শাহ সুলতান আহমদ রাসেলের হাত ধরে এসেছিলেন জেলা পরিষদ কর্তৃক করোনাকালীন সহায়তা নিতে। সত্তরোর্ধ্ব বাউল চন্দন মিয়া স্ত্রী বাউল রেহানা বেগমের হাত ধরে এসে মিলনায়তনে নীরবে বসেছিলেন। করোনার সময় তিনি কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়ে কাহিল হয়ে পড়েছেন। এভাবে জেলা পরিষদের সহায়তা নিতে আসা বাউলরা বসেছিলেন মিলনায়তন আলো করে।
সহায়তার চেক তুলে দেওয়ার সময় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি নূরুল হুদা মুকুট যখন তার বক্তব্যে বলেন, ‘বাউলদের সহায়তা নয় দায়িত্ববোধ থেকে আমরা সামান্য অর্থ দিয়ে নিজেরা সম্মানিত হচ্ছি’ তখন চোখে মুখে আনন্দের ঝিলিক দেখা দেয় বাউল মহাজন মকরম আলী শাহ, চন্দন মিয়াসহ অন্য বাউলদের চোখে মুখে। তারা প্রাণভরে কৃতজ্ঞতা জানান। জেলা পরিষদের আর্থিক সহযোগিতা পেয়ে জেলার অসহায় ২২ জন বাউল এভাবেই সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নূরুল হুদা মুকুট, প্রধান নির্বাহী মো. জাকির হোসেনসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
সোমবার দুপুরে সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ মিলনায়তনে করোনায় কর্মহীন, পেশা বদলে ফেলা অসহায় ও হতদরিদ্র ২২ জন বাউলকে ১০ হাজার টাকা করে সহায়তা দিয়েছে সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ। বাউল মকরম আলী শাহ, বাউল মকদ্দস আলম উদাসী, বাউল তছকির আলী, বাউল আলম শাহ, বাউল শাহ নূর জালাল, বাউল শাহ আব্দুল তোয়াহেদ, বাউল বশির উদ্দিন সরকার, বাউল বিরহী কালা মিয়া, বাউল ছুরত আলী, বাউল চন্দন মিয়া, বাউল জবান আলী, বাউল লাল শাহ, যন্ত্রশিল্পী আব্দুল ওয়াদুদ, বাউল আনোয়ার পাশা, বাউল আপেল মাহমুদ, বাউল কোকিল চন্দ্র দাস, বাউল রশিদ উদ্দিন, বাউল রথীন্দ্র চন্দ্রনাথ, ধামাইল শিল্পী আরতি রাণী দাশ, যন্ত্রশিল্পী হরিধন দাস, বাউল নজরুল ইসলাম রানা, বাউল সুরত আলীসহ ২২ জন বাউলের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়।
জেলা পরিষদের এই সহায়তা পেয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সহায়তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান অসহায় বাউলশিল্পীরা। জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেনের সঞ্চালনায় সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূরুল হুদা মুকুট। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা পরিষদ সদস্য সৈয়দ দুলাল, বাউল শাহ নূর জালাল, বাউল আলম শাহ, রাজনীতিবিদ অমল কর, লোক গবেষক সুমন কুমার দাস, সাংবাদিক শামস শামীম প্রমুখ।
বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিমের পুত্র বাউল শাহ নূরজালাল বলেন, বাউলরা খুবই অবহেলিত। করোনার কারণে মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে আছেন সবাই। অনেক নিভৃতচারী বাউল পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তারা তেমনভাবে সরকারি সহযোগিতা পাচ্ছেন না।
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূরুল হুদা মুকুট তাঁর বক্তব্যে বলেন, আমরা দেশে এবং বিদেশে গেলে পরিচয় দেই বাউল হাসন রাজা, রাধারমণ, শাহ আব্দুল করিমের দেশের লোক। এই করোনা মহামারির কারণে বাউল মহাজনদের উত্তরসূরীরা মানবিক কষ্টে আছেন। অনেকে পেশা বদলে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। আমরা এমন অসহায় কিছু বাউলদের সহযোগিতা করতে পেরে আনন্দিত। আগামীতেও জেলা পরিষদ বাউল সম্প্রদায়কে সহযোগিতা দিবে।

আর্থিক সহায়তা প্রদান : বাউলদের পাশে জেলা পরিষদ
স্টাফ রিপোর্টার ::
বাউল সাধক মকরম আলী শাহ’র বয়স এখন প্রায় শত বছর। জেলার সবচেয়ে প্রবীণ বাউল তিনি। লাঠিতে ভর দিয়ে হাঁটেন। দীর্ঘদেহী এই বাউল নাতি শাহ সুলতান আহমদ রাসেলের হাত ধরে এসেছিলেন জেলা পরিষদ কর্তৃক করোনাকালীন সহায়তা নিতে। সত্তরোর্ধ্ব বাউল চন্দন মিয়া স্ত্রী বাউল রেহানা বেগমের হাত ধরে এসে মিলনায়তনে নীরবে বসেছিলেন। করোনার সময় তিনি কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়ে কাহিল হয়ে পড়েছেন। এভাবে জেলা পরিষদের সহায়তা নিতে আসা বাউলরা বসেছিলেন মিলনায়তন আলো করে।
সহায়তার চেক তুলে দেওয়ার সময় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি নূরুল হুদা মুকুট যখন তার বক্তব্যে বলেন, ‘বাউলদের সহায়তা নয় দায়িত্ববোধ থেকে আমরা সামান্য অর্থ দিয়ে নিজেরা সম্মানিত হচ্ছি’ তখন চোখে মুখে আনন্দের ঝিলিক দেখা দেয় বাউল মহাজন মকরম আলী শাহ, চন্দন মিয়াসহ অন্য বাউলদের চোখে মুখে। তারা প্রাণভরে কৃতজ্ঞতা জানান। জেলা পরিষদের আর্থিক সহযোগিতা পেয়ে জেলার অসহায় ২২ জন বাউল এভাবেই সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নূরুল হুদা মুকুট, প্রধান নির্বাহী মো. জাকির হোসেনসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
সোমবার দুপুরে সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ মিলনায়তনে করোনায় কর্মহীন, পেশা বদলে ফেলা অসহায় ও হতদরিদ্র ২২ জন বাউলকে ১০ হাজার টাকা করে সহায়তা দিয়েছে সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ। বাউল মকরম আলী শাহ, বাউল মকদ্দস আলম উদাসী, বাউল তছকির আলী, বাউল আলম শাহ, বাউল শাহ নূর জালাল, বাউল শাহ আব্দুল তোয়াহেদ, বাউল বশির উদ্দিন সরকার, বাউল বিরহী কালা মিয়া, বাউল ছুরত আলী, বাউল চন্দন মিয়া, বাউল জবান আলী, বাউল লাল শাহ, যন্ত্রশিল্পী আব্দুল ওয়াদুদ, বাউল আনোয়ার পাশা, বাউল আপেল মাহমুদ, বাউল কোকিল চন্দ্র দাস, বাউল রশিদ উদ্দিন, বাউল রথীন্দ্র চন্দ্রনাথ, ধামাইল শিল্পী আরতি রাণী দাশ, যন্ত্রশিল্পী হরিধন দাস, বাউল নজরুল ইসলাম রানা, বাউল সুরত আলীসহ ২২ জন বাউলের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়।
জেলা পরিষদের এই সহায়তা পেয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সহায়তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান অসহায় বাউলশিল্পীরা। জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেনের সঞ্চালনায় সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূরুল হুদা মুকুট। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা পরিষদ সদস্য সৈয়দ দুলাল, বাউল শাহ নূর জালাল, বাউল আলম শাহ, রাজনীতিবিদ অমল কর, লোক গবেষক সুমন কুমার দাস, সাংবাদিক শামস শামীম প্রমুখ।
বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিমের পুত্র বাউল শাহ নূরজালাল বলেন, বাউলরা খুবই অবহেলিত। করোনার কারণে মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে আছেন সবাই। অনেক নিভৃতচারী বাউল পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তারা তেমনভাবে সরকারি সহযোগিতা পাচ্ছেন না।
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূরুল হুদা মুকুট তাঁর বক্তব্যে বলেন, আমরা দেশে এবং বিদেশে গেলে পরিচয় দেই বাউল হাসন রাজা, রাধারমণ, শাহ আব্দুল করিমের দেশের লোক। এই করোনা মহামারির কারণে বাউল মহাজনদের উত্তরসূরীরা মানবিক কষ্টে আছেন। অনেকে পেশা বদলে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। আমরা এমন অসহায় কিছু বাউলদের সহযোগিতা করতে পেরে আনন্দিত। আগামীতেও জেলা পরিষদ বাউল সম্প্রদায়কে সহযোগিতা দিবে।

 

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com