ছাতক প্রতিনিধি ::
ছাতক পৌরসভার নারী কাউন্সিলর কর্তৃক পৌরসভা মেয়র আবুল কালাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়েরের প্রতিবাদ জানিয়েছেন পৌর কাউন্সিলর, পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ ও পৌর নাগরিকবৃন্দ। টানা চার বারের নির্বাচিত পৌর মেয়রে আবুল কালাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার এবং ওই নারী কাউন্সিলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ছাতক পৌরসভার হল রুমে পৌর পরিষদের উদ্যাগে পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের মুরব্বি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সভা অনুষ্ঠিত হয়। পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সচিব খাঁন মো. ফারাবী’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সম্প্রতি সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর ও তার পরিবারের সদস্য কর্তৃক পৌর মেয়র ও কাউন্সিলরবৃন্দের সাথে দুর্ব্যবহারসহ পৌর কার্যালয়ে বিশৃংখলা বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
এসময় পৌর কাউন্সিলর জসিম উদ্দিন সুমেন, ইরাজ মিয়া, হাজী নাজিমুল হক, লিয়াকত আলী, ছালেক মিয়া, আফরোজ মিয়া, রশিদ আহমদ, শফিকুল ইসলাম, নুরেছা বেগম, সাবেক কাউন্সিলর ধন মিয়া, সুদীপ কুমার দে, মাসুক মিয়া, পৌরসভার ৯ টি ওয়ার্ড থেকে আগতদের মধ্যে আয়না মিয়া, অধ্যাপক হরিদাস রায়, সামছুদ্দিন আহমদ, হাজী সামছুল আলম, আশ্রব আলী, লায়েক মিয়া, সুমন আহমেদ এখলাছ, রবিন্দ্র কুমার দাস, বাবুল পাল, আশরাফুল জামান ভূইয়া, এনামুল হক ইদন, ছালিক মিয়া চৌধুরী রোকন, হাজী নূর মিয়া তালুকদার, আব্দুল ওদুদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাজাহান গোলাম কিবরিয়া, হাজী আবুল হায়াত, শিখা রানী দে, আব্দুল মমিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট পীযুষ ভট্টাচার্য্য, হারিছ আলী, চ¤পু দত্তসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, পৌরসভার মেয়র, কাউন্সিলর ও পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে অশালীন আচরণ এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করায় ওই নারী কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ১০ কাউন্সিলর স্বাক্ষরিত একটি রেজুলেশন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ছাতক শহরে চলাচলরত ইজিবাইক স্ট্যান্ড থেকে অবৈধ চাঁদা আদায় নিয়ে স্ট্যান্ড ম্যানেজার আতিকুল ইসলামের সাথে সংরক্ষিত ওই নারী কাউন্সিলরের সম্প্রতি বিরোধ সৃষ্টি হয়। বিষয়টি স্ট্যান্ড ম্যানেজার বিচার চেয়ে মেয়র বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে বলা হয়, পৌর শহরের পশ্চিম বাজার ইজিবাইক স্ট্যান্ডের ম্যানেজারের কাছ থেকে দু’বারে ৫ হাজার করে অবৈধ চাঁদা আদায় করেন ওই নারী কাউন্সিলরের স্বামী মাসুম আহমদ। এতে সন্তুষ্ট না হয়ে তা প্রতি মাসে আরও চাঁদা দেয়ার দাবি জানান মাসুম। গত ২২ আগস্ট নারী কাউন্সিলরমেয়রের কক্ষে প্রবেশ করে বাক-বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এঘটনার সময়ে কক্ষে উপস্থিত পৌর কাউন্সিলর ইরাজ মিয়া জানান, ইজিবাইক শ্রমিকরা বিচার প্রার্থী হওয়ায় নারী কাউন্সিলর চরম উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তাকে কোনভাবেই নিবারণ করা যাচ্ছিল না। এক পর্যায়ে তিনি অকথ্যভাষায় গালাগালসহ মোবাইল ফোনে তার স্বামী ও স্বজনদের ডেকে এনে পৌর কার্যালয়ে তাণ্ডব চালান। এ ঘটনায় ২৭ আগস্ট পৌর কর্মচারী দিপ্ত বণিক বাদী হয়ে দ্রুত বিচার আইনে ওই নারী কাউন্সিলরসহ তার স্বামী ও তার দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।