স্টাফ রিপোর্টার ::
গত ২৯ জুলাই দৈনিক সুনামকণ্ঠে ‘ঠেকানো যাচ্ছেনা সুরমার ভাঙন’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদটিতে সুরমা নদী ভাঙন কবলিত দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের নূরপুর গ্রাম ও বাজারের আশপাশের এলাকার ভাঙন পরিস্থিতি ও দুর্দশার চিত্র তুলে ধরা হয়। সংবাদ প্রকাশের পর এ বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট এলাকায় নদী ভাঙন প্রতিরোধে পাউবো’র প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নূরপুর গ্রাম ও বাজারের আশপাশের এলাকার নদী ভাঙন রোধে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা ও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত গীতিকার সেজুল হোসেন। পরবর্তীতে একই দাবিতে তাগিদ দিয়ে পাউবোকে ডিও লেটার দেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক। এরপর পাউবো অফিস থেকে সরেজমিনে গিয়ে একাধিক বার ভাঙন কবলিত এলাকার জরিপ চালানো হয় এবং একটি প্রকল্প তৈরি করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠানো হয়। সম্প্রতি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পরপরই বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস। নূরপুর এলাকার নদী ভাঙন রোধে দুইটি প্যাকেজে ৫৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। গুডম্যান নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এই প্রকল্পের কাজ পায়। এর আওতায় নূরপুর বাজারের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশ ও নূরপুর মসজিদের পাশে মোট ১৫০ মিটার জায়গায় ১৬ হাজার জিও ব্যাগ ফেলা হবে। কাজের সময়সীমা ধরা হয়েছে ১৫ দিন।
নূরপুর গ্রামের বাসিন্দা শাহ জামাল বলেন, সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিকসহ আমাদের গ্রামের কৃতীসন্তান সেজুল হোসেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদেরকে কৃতজ্ঞতা জানাই। নদী ভাঙন প্রতিরোধে কাজ শুরু হয়েছে। কাজটি স¤পন্ন হলে আমরা এলাকাবাসী উপকৃত হবো।
গুডম্যান ঠিকদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মাহবুব বলেন, পানি বেড়ে যাওয়ার কারণে একটু বিলম্ব হচ্ছে। আর ১০-১২ দিনের মধ্যেই কাজ শেষ হয়ে যাবে। ভাঙন কবলিত অংশে জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপসহকারী প্রকৌশলী আবু সায়েম সাফিউল ইসলাম বলেন, সুনামকণ্ঠে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি গুরুত্বের সাথে দেখছি। সংশ্লিষ্ট এলাকায় নদী ভাঙন রোধে আমরা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছি।