স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লাপাড়া ইউনিয়নের চরমহল্লা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ। সভায় সভাপতিত্ব করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান শাহরিয়ার।
আলোচনা সভার পূর্বে বিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন এমপি মিসবাহ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিবছর শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে বই তুলে দিচ্ছেন। অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। সরকার শিক্ষাখাতে প্রচুর সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে। এখন সিদ্ধান্ত আপনার। আপনার সন্তানকে শিক্ষিত করে তুলবেন কি-না। আপনার সন্তান যদি শিক্ষিত হয় তাহলে সে আপনার ঘর আলোকিত করবে, গ্রাম আলোকিত করবে, দেশ আলোকিত করবে। সন্তানের প্রতিভা বিকাশ করার সুযোগ করে দিতে হবে। সন্তান যদি শিক্ষিত না হয় তাহলে এতো ভবন দিয়ে কিছুই হবে না, ঘর অন্ধকার থাকবে।
তিনি বলেন, এটা আগস্ট মাস, শোকের মাস। যারা এদেশের মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাস করে না, স্বাধীনতাকে মেনে নিতে চায় না সেই দেশী ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীরা ১৫ আগস্ট সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। আমি শোকের মাসে তাদের আত্মার শান্তি কামনা করি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্ন নিয়ে যে দেশ বিনির্মাণ করতে চেয়েছিলেন সেটি- ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ। সেই পথে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। অর্থনৈতিক উন্নয়ন হচ্ছে। এখন প্রয়োজন সবাই শিক্ষার আলোয় আলোকিত হওয়া। আমাদেরকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত হতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।
আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চরমহল্লা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অশোক পাল, মোল্লাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান নূরুল হক, মোল্লাপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছলিম উল্লাহ, সাধারণ স¤পাদক আবুল হোসেন, ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি তুরাব আলী, সাধারণ স¤পাদক শামীম আহমেদ, জেলা যুবলীগ নেতা বকুল তালুকদার, আব্দুল হান্নান, আলী হায়দার, গোলাম রব্বানী, মঈন উদ্দিন মাস্টার, ফজলুল হক মাস্টার, আবদুর রহমান, সৈয়দুল ইসলাম, তাজ উদ্দিন, সফর আলী, শফী মিয়া, আঞ্চব আলী প্রমুখ।