স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ফেনিবিল এলাকায় ৩ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত ‘জাহাঙ্গীরনগর পঞ্চায়েতি কবরস্থান’। ইউনিয়নের চার গ্রামের মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের একমাত্র সমাধিস্থল রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সীমানাপ্রাচীর না থাকায় অব্যাহত দখল পাঁয়তারায় হুমকির মুখে পড়েছে বিশাল এই করবস্থানটি। এছাড়াও সীমানা প্রাচীর না থাকায় অবাধে গরুছাগল চলাচলে গো-চারণ ভূমিতে পরিণত হওয়ায় করবস্থানের পবিত্রতা বিনষ্ট হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। কবরস্থানের পবিত্রতা ও ভূমি রক্ষায় সীমানা প্রাচীর নির্মাণসহ রক্ষণাবেক্ষণের দাবি জানিয়েছেন তারা।
স্থানীয়রা জানান, দুর্বৃত্তরা রাতের আঁধারে কবরস্থানের এক পাশ থেকে মাটি নিয়ে যাচ্ছে। নির্দিষ্ট সীমানা নির্ধারণ না থাকায় দখল চেষ্টা চলছে। এছাড়া অবাধে চলাফেরা করেছ গরু-ছাগল। গরু-ছাগলের পড়ে থাকা মলমূত্র দেখে সহজেই বুঝা যাচ্ছে পবিত্র এই স্থানটি পবিত্রতা বিনষ্ট হওয়ার ধরন। এমন অবস্থায় কবরস্থান রক্ষণাবেক্ষণে বিহীত ব্যবস্থা গ্রহণের স্থানীয় সরকারের সংশ্লিষ্টদের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন তারা।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. শফিকুর রহমান বলেন, ফেনিবিল কবরস্থানটিতে ইউনিয়নের ৪ থেকে ৫টি গ্রামের মানুষ মৃত্যুবরণ করলে তাদের কবর দেয়া হয়। অনেক পুরনো এই কবরস্থান এখন দখলদারদের খপ্পরে পড়েছে। কবরস্থানের জমি থেকে মাটি নিয়ে যাচ্ছে দুর্বৃত্তরা। এটি দেখার কেউ নেই।
মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, কবর একটি পবিত্র স্থান। পবিত্র এই স্থানে অবাধে গরু-ছাগল চলাফেরা করে আর মল-মূত্র ত্যাগ করে। সীমানা প্রাচীর না থাকার কারণে কবরস্থানের পবিত্রতা নষ্ট হওয়ার সাথে সাথে দখল পাঁয়তারা চলছে। সরকারি অনুদানের মাধ্যমে কবরস্থান রক্ষায় সীমানা দেয়াল নির্মাণের দাবি জানান তিনি।
এ ব্যাপারে জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোকসেদ আলী বলেন, কবরস্থানে সীমানা প্রাচীর নির্মাণে সরকারি অনুদানের জন্য চেষ্টা করছি।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. আবুল হোসেন বলেন, সরেজমিনে কবরস্থানটি পরিদর্শন করে এর সীমানা প্রাচীর নির্মাণের বিষয়টি একটি প্রকল্পে আনা হবে।