কর্ণ বাবু দাস ::
দোয়ারাবাজার উপজেলায় কয়েক লক্ষাধিক মানুষের বসবাস। তাদের চিকিৎসার ঠিকানা দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। কিন্তু উপজেলার একমাত্র স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি জনবল সংকটে চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করলেও নেই প্রয়োজনীয় জনবল। নেই উন্নতমানের চিকিৎসা সরঞ্জাম। সরকারি অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও নেই চালক। দোয়ারাবাজার থেকে জরুরি রোগী নিয়ে জেলা সদর এবং সিলেট যেতে বড় বাধা সুরমা নদী। রোগীকে পারাপারে খেয়ার জন্য অপেক্ষা করতে দীর্ঘসময়। এছাড়া ৫০ শয্যায় উন্নীত করলেও পর্যাপ্ত ডাক্তার নিয়োগ দেয়া হয়নি। ডাক্তার সংকটের কারণে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকের অনুপস্থিতিতে ও সংকটে রোগীদের দুর্ভোগ যেন চরমে। এ হাসপাতালে বিভিন্ন পদে ১২ জন ডাক্তার থাকার কথা থাকলেও আছেন মাত্র ৪ জন।
সেবা নিতে আসা স্থানীয় কয়েকজন জানান, হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে জনবল সংকট থাকলেও দেখার কেউ নেই। যার কারণে উপজেলাবাসী চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন। জরুরি রোগী আসা মাত্রই সুনামগঞ্জ কিংবা সিলেটে রেফার করে দেওয়া হচ্ছে। হাসপাতালে ঔষধ কিংবা সেবা ভালোভাবে পাওয়া যাচ্ছে না।
দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দেলোয়ার হোসেন বলেন, হাসপাতালে প্রয়োজনের তুলনায় ডাক্তার কম থাকায় মানুষকে সেবা দিতে কষ্ট হচ্ছে। ১২ জন ডাক্তার থাকার কথা থাকলেও আছেন মাত্র ৪ জন। দীর্ঘদিন ধরে অ্যাম্বুলেন্স থাকলে সরকারি চালক নেই। জরুরি ভিত্তিতে একজন অ্যাম্বুলেন্স চালক প্রয়োজন। অবকাঠামো ও আবাসিক ব্যবস্থা স¤পূর্ণ প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও উপকরণ সরবরাহ কার্যক্রম চলমান, ডাক্তার স্বল্পতা বিদ্যমান। উপজেলাবাসীর চিকিৎসা সেবার স্বার্থে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার সংকটসহ সকল প্রকার সমস্যা সমাধান করা জরুরি হয়ে পড়েছে।