দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি অনেকাংশে নির্ভর করে সরকারি কর্মকর্তাদের দক্ষতা ও আন্তরিকতার ওপর। অফিসে পেশাগত কাজে সেবার মনোভাব নিয়ে কাজ না করলে একটি দেশের টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয় এবং জনগণকে উন্নত সেবা দানের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়। সরকারি অফিসে সেবা পাওয়া জনগণের রাষ্ট্রীয় মৌলিক অধিকার। ভুলে গেলে চলবে না, জনগণের ট্যাক্সের টাকা থেকেই কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা আসে। তাই নিয়মিত ও যথাসময়ে অফিসে কাজ করাও কর্মকর্তাদের নৈতিক দায়িত্ব। জনগণকে উন্নত সেবা দান কর্মকর্তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হওয়া উচিত। মাঝে মধ্যে সরকারি বিভিন্ন অফিসে কর্মকর্তাদের অফিস কামাই ও সেবাগ্রহিতাদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণের খবর প্রায়ই পত্রিকায় শিরোনাম হয়। যা খুবই দুঃখজনক।
“সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়নবোর্ড : কর্মকর্তাদের গণঅনুপস্থিতি” শিরোনামে গতকাল সোমবার একটি সংবাদ প্রকাশিত হয় দৈনিক সুনামকণ্ঠে। সংবাদে বলা হয়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। তবে অভিযোগের মধ্যে প্রধান অভিযোগ হলো, হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণের সময় ছাড়া সাধারণত কর্মকর্তাদের অফিসে পাওয়া যায় না। সরকারি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকেও এমন অভিযোগ একাধিকবার করেছেন ভুক্তভোগীরা।
হাওরাঞ্চলের বোরো ফসলরক্ষাসহ হাওরবাসীর বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ সরকারি অফিস হচ্ছে, পানি উন্নয়ন বোর্ড। প্রতিবছর ঢলের পানি ও দুর্বল হাওররক্ষা বাঁধ নির্মাণের ফলে হাওরাঞ্চলে ফসলহানি ঘটে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্টদের অনিয়ম-দুর্নীতির কারণেই প্রতিবার হাওরাঞ্চলে ফসলহানি ঘটে এমন অভিযোগ কৃষক ও জনপ্রতিনিধিদের।
আমরা আশা করি, পেশাগত দায়িত্ব পালনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা নিয়মিত অফিস করবেন। শুধুই পেশাদারিত্ব নয়, সেবার মনোভাব নিয়ে কাজ করবেন। কৃষক ও কৃষি বাঁচাতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা কাজের প্রতি দায়বদ্ধ থাকবেন।