1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ০১:০০ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

জুবিলীর স্মৃতি ও আমাদের সময়

  • আপডেট সময় রবিবার, ২৭ জুন, ২০২১

:: ডা. সৈয়দ শহীদুল ইসলাম ::
সময় হচ্ছে নীরব ঘাতকের মত। আমাদের সময়ের কনিষ্ঠ এখন পৌঢ়। আমি নিজেও এর মধ্যে আছি। অনেককে চিনতে পারিনা। আমাকেও অনেকে চিনতে পারেনা। এটা হচ্ছে সময়ের ফের।
১৯৬৫ সালে জুবিলী স্কুলে ভর্তি হই। সরকারি স্কুলে ভর্তি হওয়া তখনও কঠিন ছিল এখন কি অবস্থা জানি না। গার্ডিয়ানের পরিচিতি কাজে লাগতো। আমার সেটা ছিল। বাবা ছিলেন কোর্ট মসজিদের ইমাম। উনাকে সবাই চিনতো, সম্মান করতো। কিন্তু ভর্তি পরীক্ষার রেজাল্ট নাকি ভালো হয়নি, আব্বার মন খারাপ হয়ে গেল। আমি কি করবো? আমার সাধ্যমত ভালো পরীক্ষা দিয়েছিলাম। আব্বা পি আই স্যারকে ধরলেন। পি আই স্যার খুব জনপ্রিয় ছিলেন স্কুলে। সিদ্ধান্ত হয় এখন ভর্তি হবে না তবে আমি ক্লাস করতে পারব। আগামী ত্রৈমাসিক পরীক্ষায় ভালো করতে পারলে এডমিশন হবে। ক্লাস শুরু করলাম। গ্রাম থেকে নতুন শহরে এসেছি। যদিও তখন সুনামগঞ্জ শহর অনেকটা গ্রামের মতই। তবুও শহরতো। নতুন জায়গা বন্ধু-বান্ধব নেই, সবাই প্রায় অপরিচিত। স্কুলে ভর্তি না হয়ে ক্লাস করার সুযোগ পেয়েছি অনেকেই সেটা সহজভাবে মেনে নিতে পারেনি। আমার প্রতি একটা অবহেলার ভাব। এভাবে কিছুদিন যাওয়ার পর ত্রৈমাসিক পরীক্ষার সময় চলে আসল। পরীক্ষা দিলাম। কিছুদিন পর রেজাল্ট হল আমি সম্ভবত দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছিলাম। রেজাল্টের পর পরিস্থিতির পরিবর্তন হলো। আমার প্রতি কারো কৌতূহল, কারো হিংসা, কেউ আবার বন্ধুত্বের হাত বাড়ালো। জুবিলী স্কুলে আমার সত্যিকার শিক্ষাজীবন শুরু হলো।
১৯৭০ সালে মেট্রিক পরীক্ষা দেই। আমরাই পাকিস্তানের সর্বশেষ মেট্রিক। প্রথম বিভাগে পাস করেছিলাম। এই সময়টা আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়। অনেক ঘটনা ঘটেছে, অনেক স্মৃতি বিজড়িত সময়। পরিণত বয়সে যখন এই সময়ের কথা মনে হয় তখন মনে এক ধরনের আনন্দমিশ্রিত বেদনা অনুভব হয়।


রেজাল্ট ভালো হওয়ায় আমার হীনমন্যতা কেটে গেল, ফ্রিলি সবার সঙ্গে মিশতে শুরু করলাম। এরপর স্কুলের বাকি সময়টা সেরা ছাত্রদের মধ্যেই গণ্য ছিলাম। স্কুলের বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে নেতৃত্ব দিয়েছি। স্যারদের স্নেহের দৃষ্টির মধ্যে ছিলাম। আমাদের সময় স্কুলের পরিবেশ ছিল খুবই ভাল। স্কুলের ছাত্ররা কোন দল করত না, সবার মধ্যে ভালো স¤পর্ক ছিল। মাঝে মাঝে একটু মান-অভিমান হয়েছে বন্ধু-বান্ধবরা মিটমাট করে নিয়েছি। কোন ছাত্র আরেক ছাত্রকে মেরে পঙ্গু করে দিবে বা মেরে ফেলবে এগুলো কেউ স্বপ্নেও ভাবত না।
শিক্ষকরা ছাত্রদের ভালবাসতেন, নিয়মিত ক্লাস নিতেন, ছাত্রদের শেখানোর চেষ্টা করতেন। বৃত্তি পরীক্ষা ও মেট্রিক পরীক্ষার সময় ভালো ছাত্রদের আলাদাভাবে সময় দিতেন, তার জন্য কোন টাকাপয়সা লাগতো না। এমনকি কোন কিছু বোঝার জন্য স্যারদের বাসায় গেলে স্যাররা খুশি হতেন। প্রাইভেট পড়ার প্রচলন ছিল খুবই নগণ্য। শিক্ষকরা শুধুমাত্র পড়াশোনার খবর রাখতেন না বরং নৈতিক শিক্ষাও দিতেন। স্কুলে বা স্কুলের বাইরেও কোন শাস্তিযোগ্য অপরাধ করলে স্যাররা শাস্তি দিতেন। এইজন্য কোন গার্ডিয়ান স্যারদের চার্জ করতেন না। স্যারদের সাথে আমাদের সম্পর্ক ছিল শ্রদ্ধামিশ্রিত ভয়ের। ছাত্ররা শিক্ষকদের অমান্য করবে, অপমান করবে এসব ধারণাই প্রচলিত ছিল না।
আমাদের একজন স্যার ছিলেন, উনার ক্লাসে টুপি বাধ্যতামূলক ছিল, স্যারের নামই হয়ে গেল টুপি স্যার। স্কুলের বাইরেও টুপি ছাড়া দেখে কান মলে দিতেন। আমরা স্যারকে দেখলে অন্য রাস্তায় চলে যেতাম। আল্লাহ স্যারকে জান্নাতবাসী করুন।
আমাদের লেখাপড়া এগিয়ে চলছিল, এর মধ্যে সেপ্টেম্বর মাসে ইন্ডিয়া পাকিস্তান যুদ্ধ বেধে যায়। কেন এই যুদ্ধ সে সম্পর্কে আমরা কিছুই জানতাম না। তখন এত প্রচার মাধ্যম ছিল না। রেডিও পাকিস্তানের মাধ্যমে যুদ্ধের খবর প্রচার করা হতো। আমাদের স্কুলের প্রত্যেক ছাত্রের কাছ থেকে চার আনা চাঁদা আদায়ের সিদ্ধান্ত হয়। তবে কেউ চাইলে বেশি দিতে পারবে। চার আনা শুনে তাচ্ছিল্য করবেন না, তখন ২০ টাকায় ১ মণ চাল কেনা যেত। এক টাকা নিয়ে গেলে বাজার করা যেত। চার আনায় আমার মন ভরেনি, আমি এক টাকা দিয়েছিলাম।
১৭ দিন পর যুদ্ধ বন্ধ হয়ে যায়। আমাদের শিক্ষাজীবন স্বাভাবিক নিয়মে এগিয়ে চলল। অষ্টম শ্রেণিতে বৃত্তি পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত হই। আমরা যাতে ভালো করি এজন স্যারদের পক্ষ থেকে অনেক সহযোগিতা করা হয়। আমি বৃত্তি পেয়েছিলাম, দ্বিতীয় গ্রেডে প্রথম হই। সেদিন মা, বাবা শিক্ষকরা অনেক খুশি হয়েছিলেন। এখন হয়তো মনে হতে পারে একটি বৃত্তি পাওয়া এমন কি? তখন এগুলো পাওয়া সহজ ছিল না। প্রকৃত মেধাবী ছাড়া এসব পাওয়া সম্ভব ছিলনা।


একদিন টিফিনের ছুটির সময় (টিফিন আওয়ার ১টা থেকে ২টা) স্কুলের মাঠের দিক থেকে অনেক বেশি শব্দ আসছিল। আমরা দৌড়ে ওদিকে যাই। গিয়ে দেখি মাঠে হেলিকপ্টার অবতরণ করছে। এর আগে হেলিকপ্টার দেখিনি। এটা খুবই থ্রিলিং ব্যাপার। হেলিকপ্টার দেখব কি? আমরা তো সুনামগঞ্জে কোন গাড়িই দেখিনি। শহরে মাত্র দুটি জিপ ছিল। একটি এস.ডি.ও. (সাব ডিভিশনাল অফিসার) সাহেবের সরকারি গাড়ি এবং আরেকটি ছিল মরহুম দেওয়ান ওবায়দুর রাজা সাহেবের। যাই হোক, মাঠে সরকারি কর্মকর্তা- কর্মচারী, গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। হেলিকপ্টার থেকে নামলেন চোন্ত পায়জামা-পাঞ্জাবি মাথায় টুপি পরা এক পৌঢ় ভদ্রলোক। আমরা উনাকে চিনতাম না। শুনলাম উনি হচ্ছেন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর জনাব আব্দুল মোনায়েম খান। হেলিকপ্টার দেখা এবং গভর্নর দেখা ঐ সময়ের জন্য রীতিমতো উত্তেজনাকর। উনাকে নেয়া হলো বিডি হলে (বর্তমান আবুল হোসেন হল)। তিনি একটি সংক্ষিপ্ত ভাষণ দিলেন। আমি যদি ভুল না করে থাকি তাহলে উনার ভাষণের কিছু অংশ এরূপ- ‘আমার প্রেসিডেন্ট আমার প্রিয় প্রেসিডেন্ট ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খান আপনাদেরকে বাঁশ দিয়েছেন। প্রয়োজনে আরো বাঁশ দিবেন।’ যদিও জোকের মত শোনায়, আসলে ঐ সময় বাঁধ দেয়ার জন্য প্রচুর বাঁশের প্রয়োজন ছিল।
১৯৬৮ সালের দিকে ইস্ট পাকিস্তান স্কাউটের জাম্বুরি সুনামগঞ্জে হবে। এটা অনেক বড় অনুষ্ঠান। স্কাউটদের মধ্যে উত্তেজনা। সে কথা থাক, জাম্বুরিতে জেলা স্কাউটের র‌্যালি হবে (জেলা মানে এখনকার বিভাগ) তারপর জাম্বুরি হবে। আমি স্কাউট ছিলাম না, তবে র‌্যালির সময় আমাদের স্কুলের টিমের হয়ে অনেক কাজ করতাম। শেষ হওয়ার পরে বন্ধু-বান্ধবের অনুরোধে আমিও স্কাউটে যোগদান করি। আমরা জাম্বুরি প্রস্তুতি নিতে থাকলাম। যথাসময়ে বর্তমান স্টেডিয়ামে জাম্বুরি শুরু হলো, অনেক টিম যোগদান করেছিল। আমাদের টিমও ভালো করেছিল।
১৯৬৯ সাল। ক্লাস নাইনে উঠলাম। আমাদের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ বছর। ক্লাস নাইনের ক্যাপ্টেনই সারা স্কুলের ক্যাপ্টেন। স্কুলের এক্সট্রা একাডেমিক যা কাজ হবে স্কুল কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মতো সেগুলোর ব্যবস্থা করা। যেমন- বার্ষিক মিলাদ মাহফিল, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, স্যাররা বদলি হলে তাদের বিদায় সংবর্ধনার ব্যবস্থা ইত্যাদি। ঐ সময়ে আমরা স্কুলের একটি বার্ষিক ম্যাগাজিন বের করি। মরহুম মু. আবদুর রহিম স্যার ছিলেন ম্যাগাজিনের উপদেষ্টা। আমার একটা লেখা ছিল। ঐ সময় ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান দানা বাঁধছিল। একই সময়ে সরকারিভাবে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খানের ১০ বৎসর পূর্তি উপলক্ষে উন্নয়ন দশকের অনুষ্ঠান করা হচ্ছিল। স্কুলে বিতর্ক প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়, আমি প্রথম হই দ্বিতীয় হয় জালালী (বর্তমানে খ্যাতিমান চিকিৎসক)।


ঐ সময় আমাদের স্কুলের একজন স্যার ছিলেন আ. ন. ম. বদরুল হক। আমরা ‘কবি স্যার’ ডাকতাম। স্যার কবিতা ও নাটক লিখতেন। স্যারের একটি নাটক লিখেন যার নাম ছিল ‘পল্লী দর্পণ’। স্যার নাটকটি মঞ্চস্থ করতে চাইলেন। কিছু ছাত্রদের নিয়ে রিহার্সেল আরম্ভ করলেন। অনেকদিন রিহার্সেলের পর নাটকটি টাউন হলে মঞ্চস্থ হয়। বেশ জনপ্রিয়তা পায়। দুইদিন মঞ্চস্থ হয়- একদিন স্কুলের সকলের জন্য ও একদিনের শহরের লোকদের জন্য। সবারই ভাল লেগেছিল। ঐ সময়ে সুনামগঞ্জে এটাই ছিল সবচেয়ে বড় সাংস্কৃতিক আয়োজন।
এটাই স্কুল জীবনের শেষ অনুষ্ঠান। টেস্ট পরীক্ষার রেজাল্ট ঘোষণার সাথে স্কুলের সাথে আনুষ্ঠানিক স¤পর্ক শেষ হয়ে যেত। আমাদের যেদিন টেস্টের রেজাল্ট দেয়া হয় অনেক দেরি হয়েছিল, সন্ধ্যা বা সন্ধ্যার পরে দেয়া হয়েছিল। আমি ভালো রেজাল্ট করেছিলাম। স্কুলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মার্ক পেয়েছিলাম। ছাত্রদের ভিড়ের মধ্যে হঠাৎ হেডস্যার আমার কান মলে দিয়ে বলেন, দোয়া দিলাম যাতে ভাল রেজাল্ট স্যাকে সালাম দিয়ে চলে আসলাম। এটাই স্কুলে আমার শেষ স্মরণীয় ঘটনা।


এত গেল স্কুলের কথা। স্কুলের বাইরে আমরা কেমন ছিলাম? ছোটরা ঘুম থেকে উঠে মসজিদ বা মক্তবে যেত মূল লক্ষ্য কোরআন শিক্ষা করা, সাথে নামাজ এবং কিছু মাছলা মাছায়েল শেখা। উনারা পরিচ্ছন্নতা শিখাতেন, সাথে আদব-কায়দাও। ঘরেও আদব-কায়দা শেখানো হতো। বড়দের মান্য করতে হবে, তাদের দেখলে সালাম দিতে হবে ইত্যাদি। মক্তব থেকে এসে স্কুলে যেতে হতো। তখন স্কুল ছিল ১০টা থেকে ৪টা পর্যন্ত। স্কুল থেকে ফিরে একটু বড় যারা তারা বাইরে খেলতে যেত অথবা একটু ঘোরাঘুরি করে আসত। সন্ধ্যার সময় ঘরে ফিরতে হত। গার্ডিয়ানেরা এদিকে লক্ষ রাখতেন।
ওই সময়ে কেমন ছিল আমাদের শহর সুনামগঞ্জ? ছোট শহর। প্রত্যেক বাসার সামনে বা রাস্তার পাশে ডোবা থাকতো, সেখানে কচুরিপানা জমত। এখন কারো সামনে ঐ দৃশ্য ভাসবে না, তবে এটা সুনামগঞ্জের একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য। বাসা-বাড়ির সংখ্যা কম ছিল। প্রায় সবাই সবাইকে চিনত, সবার মধ্যে একটা সৌহার্দ্যপূর্ণ স¤পর্ক ছিল। প্রাচুর্য ছিল না, তবে শান্তি ছিল, স্বস্তি ছিল, জীবনের নিরাপত্তা ছিল, সম্মানী লোকের সম্মান ছিল। এগুলো দেখে ছোটরা এঁদের মত হওয়ার স্বপ্ন দেখতো। যেখানে গুণীর কদর নেই সেখানে গুণী জন্মায় না।


দেখতে দেখতে ঐতিহাসিক ’৬৯ সাল চলে আসলো। সারাদেশ আন্দোলনে উত্তাল মিছিল মিটিং স্লোগানে মুখর পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসন চাই, জেলের তালা ভাঙবো, শেখ মুজিবকে আনবো। এই আন্দোলনের প্রাণপুরুষ ছিলেন মাওলানা ভাসানী। একসময়ে সরকার আন্দোলনকারীদের সকল দাবি মানতে বাধ্য হয়। আন্দোলনের ফলে শেখ মুজিবুর রহমানকে মুক্তি দেয়া হয়। তখন উনাকে বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত করা হয়। সারা পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন ঘোষণা করা হয়। ৭০ সালে নির্বাচন হবে। আন্দোলনের সমাপ্তি হলো। সবাই নির্বাচনী প্রস্তুতিতে নেমে পড়লো। সারাদেশে তখন একটি নাম শেখ মুজিবুর রহমান। এই নামকে ঘিরেই এই দেশের মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা। তিনি তখন নির্বাচনী প্রচারে সারাদেশে চষে বেড়াচ্ছেন। আমাদের এখানেও আসার তারিখ ঠিক হলো। এখনকার স্টেডিয়ামে জনসভার আয়োজন করা হলো। অনেক মানুষের সমাগম হয়েছিল। স্টেজের একপাশে একটি পোস্টার এর মত টানানো হলো- ওতে ছিল একটি গাভীর ছবি। গাভীর সামনের অংশ পূর্ব পাকিস্তানে এবং পিছনের অংশ পশ্চিম পাকিস্তানে। গাভীটি পূর্ব পাকিস্তানে ঘাস খাচ্ছে আর পশ্চিম পাকিস্তানে দুধ দিচ্ছে। এরপর মহিউদ্দিন নামে উনার দেহরক্ষী একটি গান গাইলো- গানের বক্তব্য ছিল পূর্ব পশ্চিম পাকিস্তানের বৈষম্য। তারপর শেখ মুজিব উনার জ্বালাময়ী ভাষণ দিলেন। এর পরের ইতিহাস সবারই জানা, তাই আর কথা না বাড়িয়ে এখানেই আমার স্মৃতিচারণ শেষ করতে চাই।
[লেখক ডা. সৈয়দ শহীদুল ইসলাম : অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক, মেডিসিন ও ডায়বেটিস বিশেষজ্ঞ]

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com