1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ০১:৩৫ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে আমাদের অবস্থান : বিজন সেন রায়

  • আপডেট সময় বুধবার, ১ জানুয়ারী, ২০২০

দৈনিক সুনামকণ্ঠ আজ ৬ বছরে পদার্পণ করল। এ আনন্দঘন মুহূর্তে আমরা শুভেচ্ছা জানাই সুনামকণ্ঠ’র অগণিত পাঠক, লেখক, বিজ্ঞাপনদাতা, এজেন্ট, হকার ও শুভানুধ্যায়ীকে। তাদের অকুণ্ঠ সমর্থন ও সহায়তা ছাড়া সংবাদপত্র জগতে সুনামকণ্ঠ’র প্রতিষ্ঠা লাভ সম্ভব হতো না।
সুনামগঞ্জ একদা সুদূর অতীতে ছিল জলজঙ্গলের জলাভূমি। এখন অনেকে কাব্য করে বলেন, জলজ্যোৎস্নার জনপদ। যদিও এখন আর তেমন জঙ্গলের দেখা মিলে না। তবে সারাদেশে এ জেলার মাছ-পাথর-ধানের আর লোকসংস্কৃতির সুনাম যেমন আছে, তেমনি এর পশ্চাৎপদতাও সর্বজনবিদিত। পশ্চাৎপদতা বলতে যা বুুঝি সেটা হলো, বিশেষত উন্নয়নের স্পর্শবঞ্চনার দিক থেকে তো বটেই, অন্যান্য অনেক দিক থেকেও সুনামগঞ্জের পিছিয়ে পড়ার সামগ্রিক একটি বিষয়। পশ্চাৎপদ এই অনেক দিকের মধ্যে একটি দিক হলো পত্রিকা প্রকাশনা কিংবা সাংবাদিকতার বিস্তার।
এখানে এখনো তেমন কোনও শিল্পকারখানা গড়ে ওঠেনি। উল্লেখ করার মতো যা আছে তা হলো, মাত্র গত কয়েক বছর আগে নির্মিত সুরমা নদীতে আব্দুজ জহুর সেতু, কিংবা বলা যায়, অতিসম্প্রতি সুনামগঞ্জ সরকারি হাসপাতালটির ২৫০ শয্যায় উন্নয়ন। যদিও হাসপাতালটি বলতে গেলে সমস্যাগ্রস্ততায় এখনও বরাবরের মতো নিমজ্জিত হয়ে আছে। তাছাড়া ইদানিং বেশ কীছু বড় বড় প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব অনুমোদিত হচ্ছে একনেকের সভায়। অর্থাৎ বলা যায় ‘ক্রমে আলো আসছে’। সে আলো উন্নয়নের আলো।
এইরূপ পশ্চাৎপদ সুনামগঞ্জে পত্রিকা বের করা এবং নিয়মিত রাখা একটি অত্যন্ত কঠিন ব্যাপার। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, একটি পত্রিকাকে চালু রাখার জন্য পর্যাপ্ত অর্থসঙ্গতির প্রয়োজন হয়। কিন্তু আমি বিজন সেনের সেটা ছিল না কোনও কালেই এবং এমনকি এখনও নেই। অথচ কী অবাক, সুনামকণ্ঠ পত্রিকা চালছে তো চলছেই, শত বাধাবিপত্তিতেও থেমে থাকছে না। সেসব বাধা-বিপত্তির ফিরিস্তি পেশ করার এখানে কোনও অবকাশ নেই, আর অবকাশ করে নিলেও সেটা বড়জোর পরচরিতচর্চার সঙ্গে নিন্দাবাদের বেশি কীছু হবে না।
এখন ‘ইয়েলো কালার’ সাংবাদিকতার যুগ পেরিয়ে ‘মাল্টি কালার’ সাংবাদিকতার যুগ চলছে। তবে ‘গ্রিন কালার’ সাংবাদিকতার চর্চাও যে আছে তা অস্বীকার করার উপায় নেই। সাংবাদিকতায় জটিলতা অতীতের তুলনায় শতগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সুনামকণ্ঠ এই জটিলতার শিকার হয়েছে সাত বার, অর্থাৎ সাত বার মামলা হয়েছে পত্রিকার বিরুদ্ধে। পত্রিকা প্রতিবেদন ছাপে, সোজা কথায় সেসব প্রতিবেদনের বস্তুনিষ্ঠতা থাকা চাই। সুনামকণ্ঠ প্রগতির পথের পত্রিকা, সত্যের আলোয় পথ দেখে তার যাত্রা। তাই বস্তুনিষ্ঠতার গুণে কোনও মামলায়ই সুনামকণ্ঠের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়নি, প্রতিবারই সুনামকণ্ঠের জয় হয়েছে।
আমার জন্যে পত্রিকা চালানোটাকে ‘গরিবের ঘোড়া রোগ’ বলে অভিহিত করাই আসলে সঙ্গত। পত্রিকা চালানোর পক্ষে অর্থসঙ্গতিসম্পন্ন লোকের অভাব এখানে আছে এটা বোধ করি বলা সুবুদ্ধির কাজ হবে না। তেমন-সঙ্গতিসম্পন্ন অনেকেই আছেন। কিন্তু তাঁরা পত্রিকা চালানো বা প্রকাশের বিষয়ে আগ্রহী কিংবা অনুরাগী নন। ‘নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো’র বেমক্কা কাজে মত্ত হওয়া সকলকে মানায় না। এমন উৎকট আগ্রহ-অনুরাগ খুব কম লোকেরই থাকে। অর্থাৎ হাছন পছন্দ (মো. আব্দুল হাই)-এর মতো পত্রিকা অন্তপ্রাণ লোক যে-কোনও জনপদে কম মিলে এবং এমনটাই স্বাভাবিক। কোনও জনপদে যদি মিলে সেটা সেই জনপদের সৌভাগ্য। তাছাড়া পত্রিকা প্রকাশের সঙ্গে বোধ করি একপ্রকার সাংস্কৃতিক বোধ কাজ করে কারও কারও মধ্যে। এই উচ্চমার্গীয় সাংস্কৃতিক বোধ নিয়ে সকলের জন্ম হয় না বা এই বোধটা সকলের মধ্যে গজিয়ে উঠে না। আমার মধ্যে সেটা, পত্রিকা নিয়ে জীবনকে ‘নাকাল’ করে তোলার জেদটা, কী করে এবং কখন এলো তার কোনও সদুত্তর আমার কাছে নেই। তবে এটা ঠিক যে, খেয়ালের বশে প্রথম পত্রিকা বের করেছিলাম এবং হয় তো কোনও এক সময় বেখেয়াল হয়ে ছেড়েও দিতাম, কিন্তু পত্রিকা প্রকাশ করলে যে লোকের টিটকারি সহ্য করতে হয়, জানতাম না। টিটকারির মধ্যে বোধ করি অন্যকে অনর্থক অপমান করার অমানবিকতার ভেতর দিয়ে কিছু লোক নিজেকে বড় করে তোলার একটা খেলায় মাতে এবং বিপরীতে অন্যের ভেতরের সুপ্ত অধ্যবসায়কেও ঘা মেরে জাগিয়ে দেয়। এই জাগিয়ে দেওয়াটা একটা কাজের মতো কাজ বটে এবং সেটাকে প্রশংসা না করে কোনও উপায় নেই। প্রক্রিয়াটা একেবারে মন্দ না, অন্তত এর একটি ভালো দিক আছে, অথর্বকে থর্ব করে দেওয়া। লোকে কেন তা করে, এর উত্তর সম্ভবত এটাই।
এখন সুনামকণ্ঠ প্রকাশের অতীত নিয়ে যখন ভাবি, তখন মাঝে-মধ্যে মনে হয় পত্রিকা প্রকাশের জন্যে একজন বিজন সেনের টিটকারি প্রাপ্য ছিল এই জন্যে যে, অবজ্ঞা ও বিদ্রূপের প্রতিমূর্তি সে-টিটকারিটা তার ভেতরের মানুষটিকে জাগিয়ে না দিলে সুনামকণ্ঠের মৃত্যুতুল্য প্রকাশবঞ্চনা ছিল অনিবার্য। আজ পত্রিকা প্রকাশের দেড় যুগ পেরিয়ে এসে আমি তাঁদেরকে (যাঁরা একদা আমাকে পত্রিকা প্রকাশের জন্যে টিটকারি মেরে অবজ্ঞা করেছিলেন ও নেপথ্যে থেকে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে আসলে আমার পক্ষে অসাধ্য কাজে লেগে থাকার জেদ জাগিয়ে দিয়েছিলেন, আমার ভেতরে) আমার অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে অকৃত্রিম সাধুবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।
পত্রিকা প্রকাশের পক্ষে অযোগ্য যে-গরিব বিজন সেনের পত্রিকা চালানোর আর্থিক সঙ্গতি ছিল না এবং এখনও নেই সে-বিজন সেন পত্রিকা চালিয়ে যাচ্ছে, দেড় যুগের মধ্যে নিয়মিত প্রকাশনার কোনও বিরতি নেই একদিনও, আশ্চর্য কথা। অবজ্ঞা ও বিদ্রƒপের প্রতিমূর্তি টিটকারির প্রভাব এতোটাই প্রবল, এতোটাই উত্তম এর প্রতিফল। অন্যদের টিটকারি পত্রিকা প্রকাশের খেয়ালটিকে প্রথমে একটা দুর্দমনীয় জেদে পরিণত করলো। সুহৃদ ও শ্রদ্ধেয় নিন্দুকেরা বলেছিলেন ‘সুনামকণ্ঠ এক সপ্তাহও টিকবে না। এটি একটি কলাপাতা। বিজন সেনের তো এতো টাকা নেই, টিকবে কী করে?’ ইত্যাদি শুনে শুনে কান ঝালাপালা হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু কান ঝালাপালার অন্তরালে অন্তরের যন্ত্রণা জেদে পর্যবশিত হয়েছিল। সে খবরটি কেউ রাখেনি। এই জেদের জের টানতে টানতে সেটা পর্যবশিত হলো নেশায়। এই নেশা এমনই নেশা, সেটা আমাকে শেষ পর্যন্ত ভিটেমাটি বিক্রি করতে বাধ্য করলে, তারপরেও ছাড়লো না, নাছোড় পিছন পড়ে রইলো। এদিকে আমার অবস্থা এমন যে, ফতুর হয়ে যাবো কিন্তু পত্রিকা প্রকাশ বন্ধ করবো না এবং এই করে করে পত্রিকা প্রকাশের নেশাটি আমার জীবনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে উঠলো। কী আর করা, এইভাবেই সুনামকণ্ঠ আমার সঙ্গে এখনও বেঁচে বর্তে আছে এবং বোধ করি বেঁচে থাকবে এবং জনান্তিকে বলি : সুনামকণ্ঠকে যদি একটি ফুলগাছের সঙ্গে তুলনা করা যায় তবে তার মালিটি আমি নই, তিনি অন্য কোনও এক মহৎ মানুষ। তিনি এমন একজন যিনি ফুলগাছের গোড়ায় জল সিঞ্চনের ক্ষমতা রাখেন, আর লোকারণ্যে বিরল এই মালিরা ফুলগাছের যতœ করেন লোকচক্ষুর অন্তরালে থেকে এবং এই ফুলগাছে ফুটা ফুলের সুবাস গ্রহণ করেন শ্রেণিনির্বিশেষে সমাজের সকলে। এমন মালির মতো মহৎ ক্ষমতা রাখেন যাঁরা, বলতেই হয়, তাঁরা সত্যিকার অর্থে মহান তো বটেই, বিরলতাও তাঁদের আর একটি চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। এই মহৎ মালির নামটি একটু পড়ে প্রকাশ করছি। সবচেয়ে বড় কথা তাঁর সঙ্গে আমার জীবনটি কী করে জানি বাঁধা পড়ে গেছে, আর কখনওই ছাড়ানো যাবে না।
সুনামকণ্ঠ-এর প্রকাশ শুরু ২০০১ সালের ১৩ জুলাই। সপ্তাহের প্রতি মঙ্গলবারে বের হতো। তখন থেকেই অর্থকষ্ট লেগে ছিল প্রতিনিয়ত। সে এক নিদারুণ অনটনের কাল। একটি সংখ্যা বেরুলেই পরবর্তী সংখ্যার টাকার জন্য দুশ্চিন্তায় ঘুম হতো না এবং প্রতিদিন পত্রিকা প্রকাশের প্রতিজ্ঞায় আরও বেশি করে নিজেকে উসকে দিয়ে দিন শুরু করতাম। এভাবেই চলছিল, অপরিসীম অনটনের ভেতর দিয়ে।
পত্রিকা প্রকাশের ধকলটা এতোদূর পর্যন্ত টানার সঙ্গতি আমার আছে কি না নেই, ইতোমধ্যে সেটা প্রতিপন্ন হয়ে গেছে। এতোদূর বলছি এ জন্য যে, সুনামকণ্ঠ ২০০১ সালের ১৩ জুলাই আত্মপ্রকাশ করেছিল সাপ্তাহিক রূপে এবং ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে দৈনিক হিসেবে প্রকাশিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে সময় গড়িয়েছে গুনে গুনে দেড় যুগের বেশি। এটা কম সময় না। সুনামকণ্ঠকে এখনও টেনে চলেছি। কিন্তু এর নেপথ্যে অর্থ সংস্থানের যে-ধকলটা বিদ্যমান সেটা এক মুহূর্তও টানার আমার সঙ্গতি নেই, কখনও হবে না। এই অসম্ভবটা কী করে সম্ভব হচ্ছে কিংবা হলো। এর একটা উত্তর আছে। আগেই বলেছি হাছন পছন্দের মতো কেউ কেউ এমন আছেন যিনি পত্রিকা প্রকাশ করে তৃপ্তি পান। পত্রিকা প্রকাশ তাঁদের সখ নয় নেশা। এমন নেশা কোটিতে গোটিকের ধরে। অপরদিকে অর্থসঙ্গতিসম্পন্ন কেউ কেউ থাকেন যিনি সম্পাদক হতে পারেন না, কিন্তু পত্রিকা প্রকাশের ব্যয়ভার সানন্দে বহন করেন। একটি চার পৃষ্ঠার দৈনিকের প্রতি সংখ্যার ছাপার খরচই কেবল গড়ে কম না। অন্যান্য খরচ তো আছেই। কিন্তু লাভ নেই এক পয়সাও। মাসের পর মাস বছরের পর বছর এই খাস্তা গোনার তেমন কলজে থাকা চাই। কিন্তু আমাদের সমাজটাও এমন যে, এখানে কেউ না কেউ এমন একজন থাকেন, যাঁর কলজের জোর থাকে। যিনি পত্রিকা প্রকাশের খাতে মোটা অঙ্কের টাকা ঢালতে কার্পণ্য করেন না। ভস্মে ঘি ঢালার মতো এই পত্রিকা প্রকাশের কাজে টাকা খরচের মতো চিত্তবান বিত্তওয়ালা মানুষেরা এই সমাজে দুর্লভ বটে, অস্বীকার করছি না, কিন্তু তাঁরা একেবারে নেই এমন না। এটা তো মানতেই হয় যে, সব মানুষের চিত্তের এমন আকাশের মতোন প্রসারতা থাকে না। যখন আর পারছিলাম না, সুনামকণ্ঠ বন্ধের দ্বারপ্রান্তে গিয়ে পড়েছে, বাড়ি তো ইতোমধ্যে বিক্রি করে দিয়েছি, ঘটিবাটি বিক্রি করে তো পত্রিকা চালানো অসম্ভব, তখনই বিত্তবান একজন অর্থসহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। উপমা উপস্থাপন করে বলা যায় তিনি সেই লোক, যিনি পত্রিকারূপ ফুলগাছের যতœ করেন লোকচক্ষুর আন্তরালে থেকে। তিনি দৈনিক সুনামকণ্ঠ পত্রিকার নেপথ্য কর্ণধার মো. জিয়াউল হক, দৈনিক সুনামকণ্ঠ’র সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি। তাঁর আন্তরিক সহযোগিতা ছাড়া সুনামকণ্ঠ’র এগিয়ে চলা অসম্ভব। নিজের সন্তানের মতো তিনি সুনামকণ্ঠকে আগলে রেখেছেন। তাঁর হাত ধরে সুনামকণ্ঠ হাঁটি হাঁটি পা পা করে এগিয়ে যাচ্ছে।
যাই হোক, দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় সুনামকণ্ঠকে কম মূল্য দিতে হয়নি। রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে প্রতিপত্তিশালী বিভিন্ন মহল থেকে বাধা এসেছে বারবার। সত্য প্রকাশ করায় বিভিন্নভাবে আঘাত হেনেছে স্বার্থান্বেষী মহল। তবু সুনামকণ্ঠ থেমে যায়নি। অন্যায়ের কাছে মাথানত করিনি আমরা। নতুন একটি বর্ষে পদার্পণকালে আমরা আবারও সেই অঙ্গীকার ব্যক্ত করছি।
আমরা মনে করি, সুনামকণ্ঠ নিজেই নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী। প্রতিদিন পাঠকের কাছে আমাদের পরীক্ষা দিতে হয়, পাঠকের প্রত্যাশা পূরণে ভূমিকা রাখতে হয়। প্রকৃত সংবাদপত্রের দায়িত্ব পালন করে আগামীতেও সে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার প্রত্যয় রাখে সুনামকণ্ঠ। এ কথা বলতে দ্বিধা নেই, সুনামগঞ্জবাসীর স্বার্থ সবসময়ই সবকিছুর ঊর্ধ্বে স্থান পেয়েছে সুনামকণ্ঠের কাছে। সুনামকণ্ঠ নিরপেক্ষভাবে সমস্যার কথা তুলে ধরার পাশাপাশি জেলার সম্ভাবনার ওপরও জোর দিয়ে এসেছে। এটা করতে গিয়ে সময়ে সময়ে মহলবিশেষ দ্বারা আক্রান্ত হলেও পত্রিকাটি অর্জন করেছে জনগণের আস্থা। এটাই সুনামকণ্ঠের সবচেয়ে বড় অবলম্বন। সুনামগঞ্জবাসীর ভালোবাসা-সমর্থন নিয়ে সুনামকণ্ঠ আরও বলিষ্ঠতার সঙ্গে এগিয়ে যাবে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে – ছয় বছরে পদার্পণলগ্নে এটাই আমাদের অঙ্গীকার।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com