1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ০৪:০০ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনায় ব্যবস্থাপনা কমিটির ভূমিকা : ইয়াসমিন নাহার রুমা

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৯

সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় দেশের সরকারি, রেজিস্টার্ড বেসরকারি ও কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির গঠন এবং কমিটির দায়িত্ব-কর্তব্য সংক্রান্ত বিষয়ে ১৫ নভেম্বর ২০১২ সালে জারিকৃত প্রজ্ঞাপন বাতিল করে ৬ নভেম্বর ২০১৯ সালে দেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির গঠন এবং কমিটির দায়িত্ব কর্তব্য বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়ন করে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করে। নতুন প্রজ্ঞাপনে উল্লেখযোগ্য সংযোজনসমূহ হল-
৩.১.৪ বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ কর্তৃক ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে সত্যনিষ্ঠা ও নৈতিক শিক্ষা প্রদানের বিষয়ে কমিটি বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
৩.১.৫ কমিটির সকল সদস্য প্রতিমাসের শেষ কর্মদিবসে বা নিকটবর্তী দিবসের পাঠদান কর্মসূচির পরে অন্তত: এক ঘণ্টা ছাত্র-ছাত্রীদের অভিযোগ/সুপারিশ শ্রবণপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
৩.২৯ যে সকল বিদ্যালয়ে স্কুল ফিডিং/স্কুল মিল চালু আছে সে সকল বিদ্যালয়ে স্কুল ফিডিং/স্কুল মিল পরিচালনার প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করবেন।
৩.৬ (খ) সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি ২ (দুই) লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থের সংস্কার/মেরামত কাজ সম্পন্ন করতে পারবে।
* নতুন প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি পদের যোগ্যতা ন্যূনতম স্নাতক ডিগ্রিধারী রাখা হয়েছে এবং বিদ্যোৎসাহী মহিলা এবং পুরুষ অভিভাবকের যোগ্যতা ন্যূনতম এসএসসি পাস রাখা হয়েছে যা খুবই যুগোপযোগী এবং প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। নতুন প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ও কর্তব্যসমূহ নিম্নে উল্লেখ করা হল-
৩.১ বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি দায়িত্ব ও কর্তব্য :
৩.১.১ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সার্বিক পরিবেশ ব্যবস্থাপনা, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ও শিক্ষকদের দায়িত্ব পালনের ওপর প্রতি বৎসর মে, আগস্ট ও ডিসেম্বর মাসের ৩০(ত্রিশ) তারিখের মধ্যে উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার এর নিকট নির্ধারিত ছকে কমিটির সদস্য সচিব ও সভাপতির যৌথ স্বাক্ষরে প্রতিবেদন প্রেরণ;
৩.১.২ ছাত্র-ছাত্রীদের শারীরিক শাস্তি প্রদান পরিহার নিশ্চিতকরণ;
৩.১.৩ বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি বিদ্যালয় পর্যায়ে ব্যয়িত অর্থের হিসাব অনুমোদন করবে। এসএমসি কর্তৃক খরচের বিষয়টি অনুমোদিত না হলে তা অডিটে গ্রহণযোগ্য হবে না।
৩.১.৪ বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ কর্তৃক ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে সত্যনিষ্ঠা ও নৈতিক শিক্ষা প্রদানের বিষয়ে কমিটি বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
৩.১.৫ নং ধারায় কমিটির সকল সদস্য প্রতিমাসের শেষ কর্মদিবসে বা নিকটবর্তী দিবসের পাঠদান কর্মসূচির পরে অন্তত: এক ঘণ্টা ছাত্র-ছাত্রীদের অভিযোগ/সুপারিশ শ্রবণপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
৩.২ স্থানীয় পর্যায়ে সম্পদ সংগ্রহ ও সংরক্ষণ :
বিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে স্থানীয় জনগণের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধিকরণে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি স্থানীয়ভাবে সম্পদ সংগ্রহ ও সদ্ব্যবহারের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে। ‘সম্পদ’ বলতে জনসাধারণ কর্তৃক বিদ্যালয়ের উন্নয়নে দানকৃত জমি, ভবন, আসবাবপত্র, যন্ত্রপাতি, শিখন শেখানো সামগ্রী, শিক্ষা উপকরণ, নগদ অর্থ ইত্যাদি বোঝাবে।
৩.৩ বিদ্যালয়ভিত্তিক উন্নয়ন পরিকল্পনা (SLIP) :
বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি কর্তৃক উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিদ্যালয়ভিত্তিক উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। কমিটি বিদ্যালয়ভিত্তিক উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে “বিদ্যালয়ভিত্তিক উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন নির্দেশিকা” অনুসরণ করবে।
৩.৪ একীভূত শিক্ষা কার্যক্রম :
সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় ক্যাচমেন্ট এলাকায় বিদ্যালয় গমনোপযোগী সকল শিশুকে বিদ্যালয়ে সংশ্লিষ্টকরণ এবং সকল শিশুকে গুণগত শিক্ষা প্রদানে এসএমসি পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
৩.৫ প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা :
প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণি পরিচালনায় এসএমসি নিম্নরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
ক) প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির পাঠদান কার্য তদারকিকরণ:
খ) প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা শেষে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে ১ম শ্রেণিতে ভর্তির মাধ্যমে বিদ্যালয়ে ধরে রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ;
গ) প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির শিখন-শেখানো সামগ্রী তৈরি/ক্রয়ে সহায়তা প্রদান;
ঘ) প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা পরিচালনার জন্য প্রাপ্ত তহবিলের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকরণ।
৩.৬ বিদ্যালয়ের নির্মাণ, পুনঃনির্মাণ ও সংস্কার কাজ পরিবীক্ষণ :
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ, পুনঃনির্মাণ ও সম্প্রসারণ কাজের গুণগতমান নিশ্চিতকরণে এসএমসি এর দায়িত্ব নিম্নরূপ:
ক) সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি বিদ্যালয় মেরামতের সার্বিক প্রয়োজনীয়তা নিরূপণ করে সম্ভাব্য ব্যয়ের পরিমাণসহ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার নিকট লিখিত প্রস্তাব করবে।
খ) সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি ২ (দুই) লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থের সংস্কার/মেরামত কাজ সম্পন্ন করতে পারবে। ব্যবস্থাপনা কমিটি এ ক্ষেত্রে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি হিসাবে দায়িত্ব পালন করবে। ব্যবস্থাপনা কমিটি এরূপ মেরামত কাজের জন্য উপজেলা শিক্ষা কমিটির নিকট হতে প্রশাসনিক অনুমোদন গ্রহণ করবে এবং মেরামত কাজের বাস্তব অগ্রগতি সম্পর্কে উপজেলা শিক্ষা কমিটির নিকট দায়বদ্ধ থাকবে। তবে স্থানীয় অনুদানের অর্থ দ্বারা মেরামত/সংস্কার কাজের ক্ষেত্রে এ আর্থিক সীমা (২ লক্ষ) প্রযোজ্য হবে না;
৩.৭ প্রাথমিক শিক্ষায় দ্বিতীয় সুযোগ :
উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার আওতায় প্রাথমিক শিক্ষার ২য় সুযোগ কার্যক্রমে এসএমসি নিম্নরূপ দায়িত্ব পালন করবে।
ক) সরকার কর্তৃক প্রণয়নকৃত নির্দেশিকা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ;
খ) ক্যাচমেন্ট এলাকার সংশ্লিষ্ট শিশুদের সনাক্তকরণ ও শিক্ষার দ্বিতীয় সুযোগের আওতায় আনয়ন;
গ) এ কার্যক্রমের আওতায় কেন্দ্র ও স্থান নির্বাচনে সহায়তাকরণ;
ঘ) ক্যাচমেন্ট এলাকার সংশ্লিষ্ট শিশু ও অভিভাবকদের প্রাথমিক শিক্ষার জন্য উদ্বুদ্ধকরণ; এবং
ঙ) কার্যক্রম পরিচালনায় শিক্ষক নির্বাচনে প্রয়োজনীয় সহায়তাকরণ।
৩.৮ প্রশিক্ষণ :
৩.৯ দুর্যোগকালীন অব্যাহত শিক্ষা :
দুর্যোগ ও আপদকালীন সময়ে ধারাবাহিক প্রাথমিক শিক্ষার লক্ষ্যে এসএমসি নিম্নরূপ দায়িত্ব পালন করবে।
ক) দুর্যোগকালীন সময়ে পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান।
খ) দুর্যোগকালীন সময়ে অভিভাবক, শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রীদের সতর্কীকরণ, প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ, দুর্যোগকালীন ও পরবর্তী সময়ের করণীয় নির্ধারণ।
গ) দুর্যোগকালীন সময়ে বিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে সরকার প্রণীত নির্দেশিকা অনুসরণ করা; এবং
ঘ) প্রয়োজনে বিদ্যালয়ের জন্য অস্থায়ী ভৌত সুবিধাদি প্রদানে সহায়তা প্রদান।
৩.১০ বিদ্যালয় গমনোপযোগী সকল শিশুর বিদ্যালয়ে ভর্তি ও উপস্থিতি নিশ্চিতকরণসহ বিদ্যালয়ত্যাগী ও বিদ্যালয় বহির্ভূত শিশুদের বিদ্যালয়ে ফিরিয়ে আনার পদক্ষেপ গ্রহণ, ঝরেপড়া রোধ এবং প্রতিটি শিশুর মানসম্মত শিক্ষা প্রাপ্তি নিশ্চিত করণের উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
৩.১১ এসএমসি কর্তৃক বিদ্যালয় কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ :
সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য-সচিব ও শিক্ষক প্রতিনিধি ব্যতীত অন্য ৯ (নয়) জন সদস্য পর্যায়ক্রমে বিদ্যালয় চলাকালীন সার্বিক কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করবেন। এক্ষেত্রে উক্ত ৯ (নয়) জন সদস্যের মধ্য থেকে পর্যায়ক্রমে ৪ (চার) জন সদস্য প্রতিমাসে ন্যূনতম যে কোন ৬ (ছয়) দিন বিদ্যালয় কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করবেন।
৩.১২ শিক্ষকের মাসিক বেতন বিলে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতির স্বাক্ষর গ্রহণ নিশ্চিতকরণ এবং তা কমিটির সদস্য-সচিব কর্তৃক নির্ধারিত সময়ে উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসে প্রেরণ (সভাপতি অবর্তমানে কমিটির সহ-সভাপতির প্রতিস্বাক্ষর গ্রহণপূর্বক বেতন বিল দাখিল করা যাবে);
৩.১৩ সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের সমস্যাবলি নিয়ে স্থানীয় জনসাধারণ ও উপজেলা/থানা শিক্ষা কমিটির মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন ও সমন্বয় সাধন;
৩.১৪ উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসারর এবং সহকারী উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসারের সহযোগিতায় বিদ্যালয়ের বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন;
৩.১৫ নির্ধারিত সময়ে পাঠ্যপুস্তক, শিখন-শেখানো সামগ্রী সংগ্রহ, সংরক্ষণ এবং বিতরণ নিশ্চিত করণ;
৩.১৬ সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ে সহশিক্ষাক্রমিক (co-curricular) কার্যক্রম যেমন- জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ পক্ষ, আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস, স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস, বিজয় দিবস, মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, জাতীয় শিশু দিবস, জাতীয় শোক দিবস, পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক কর্মকা-, মিলাদ মাহফিল ইত্যাদি কার্যক্রম সংগঠন ও সম্পাদনে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান;
৩.১৭ প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নের জন্য সহায়ক বিভিন্ন প্রকার কার্যক্রম বাস্তবায়নে সহযোগিতা প্রদান। বিশেষ করে প্রকল্পের আওতায় সুবিধাভোগী শিশু ও পরিবার নির্বাচনে প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ এবং সুবিধাভোগীর তালিকায় সভাপতি ও সদস্য-সচিবের স্বাক্ষর প্রদান;
৩.১৮ শিক্ষক অভিভাবক সমিতির (পিটিএ) সঙ্গে সংযোগ ও সহযোগিতা বৃদ্ধিকরণ;
৩.১৯ সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় বিদ্যালয়ের সকল রেকর্ড ও রেজিস্টার পর্যালোচনা, সংরক্ষণ ও হালনাগাদকরণ।
৩.২০ সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ে ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় সরকারি নিয়ম-নীতি অনুসরণ, প্রতিবেদন ও রিটার্ন প্রস্তুত ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয় নিশ্চিতকরণ;
৩.২১ স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে বিদ্যালয়ের উন্নয়নে কোথায় ও কিভাবে সম্পৃক্ত করা যায় তা চিহ্নিতকরণ ও বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ।
৩.২২ প্রতিমাসে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি কর্তৃক নির্ধারিত ছকে সভার কার্যবিবরণী সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসারের নিকট প্রেরণ।
৩.২৩ ক্ষেত্রবিশেষে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী শিশুদের বিদ্যালয়ে ভর্তি ও নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিতকরণে এসএমসি’র সদস্যদের নেতৃত্বে ৩ (তিন) সদস্য বিশিষ্ট একাধিক পাড়া কমিটি গঠনের পদক্ষেপ গ্রহণ।
৩.২৪ উন্নয়নমূলক কাজ, যেমন বিদ্যালয়গৃহ ও রাস্তা নির্মাণ, স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ সংরক্ষণ এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বিধানসহ অন্যান্য কাজে সাহায্য ও সহযোগিতা প্রদান।
৩.২৫ সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় ক্যাচমেন্ট এলাকার ম্যাপ প্রণয়ন, পরিমার্জন ও সংশোধন বিষয়ে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান।
৩.২৬ বার্ষিক শিশু জরিপ কার্যক্রমে সহায়তা প্রদান।
৩.২৭ স্থানীয় পর্যায়ে প্রণীত বিদ্যালয় পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সর্বপ্রকার সহযোগিতা প্রদান; এবং
৩.২৯ যে সকল বিদ্যালয়ে স্কুল ফিডিং/স্কুল মিল চালু আছে সে সকল বিদ্যালয়ে স্কুল ফিডিং/স্কুল মিল পরিচালনার প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান।
বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি সদিচ্ছা ও আন্তরিকতার সাথে উপরে উল্লেখিত দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পাদন করলে প্রাথমিক শিক্ষার গুণগতমান অবশ্যই বৃদ্ধি পাবে এবং সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত হবে।
[ইয়াসমিন নাহার রুমা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সুনামগঞ্জ সদর]

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com