বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধে বিজয় লাভ করে ১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাসে। ১৬ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক বিজয় আসে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ সফলতা পায়। অর্জিত হয় মহান বিজয়। পৃথিবীর মানচিত্রে আত্মপ্রকাশ করে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। অতঃপর অনেক ঘটনা পেরিয়ে বর্তমানে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ধাপে ধাপে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
১৯৭১ সালের ঐতিহাসিক মুক্তিযুদ্ধে কানাডার অবস্থান কি ছিল জানতে চান অনেকেই। সে সময়ে কানাডার নাম হয়তো অনেকেই জানতেন না। তথ্য ভাণ্ডার ঘাঁটলে পাওয়া যায় তৎকালীন কানাডা সরকার কানাডার জনগণ এবং বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে অকুণ্ঠ সমর্থন ও সহানুভূতি জানিয়েছিলেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পরপরই যে সব রাষ্ট্র বাংলাদেশকে স্বীকৃতি জানিয়েছিল তার মধ্যে কানাডা অন্যতম। তারিখটি ছিল ১৯৭২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি। ১৯৭২ সালের মে মাসে কানাডায় বাংলাদেশ হাইকমিশন খোলা হয়। এবং বাংলাদেশে কানাডার হাইকমিশন খোলা হয় ১৯৭৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। দুই দেশ ও জনগণের মধ্যে সম্পর্ক ভাল এবং স্থিতিশীল। পরস্পরের প্রতি আগ্রহ, বাণিজ্য, মানুষ আসা-যাওয়া রয়েছে। টরন্টোতে আন্তর্জাতিকমানের দোকানে বাংলাদেশী গার্মেন্ট পণ্য দেখলে গর্ব হয়।
ইতিপূর্বে সম্ভবত ২০১৮ সালে জলবায়ু বিষয়ক সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকার প্রশংসা করেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী মি. ট্রুডো। তিনি শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং রোহিঙ্গা ইস্যুতেও বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করেন। নিউজিল্যান্ডের মসজিদে হামলায় নিহত বাংলাদেশীদের সম্পর্কে সহানুভূতি জানিয়ে মি. ট্রুডো টেলিফোনে শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলেন। কানাডার বিভিন্ন শহরের বাংলাদেশীরা নানা অনুষ্ঠান ও কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিজয় দিবস পালন করে থাকেন। দু’দেশের সম্পর্ক অধিকতর মসৃণ ও বেগবান হবে আশা করেন সবাই।