ধর্মপাশা প্রতিনিধি ::
ধর্মপাশা উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়নের ভাটি নজরপুর গ্রামের সামনের খলায় গতকাল শুক্রবার সকালে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৫জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় ওইদিন দুপুরে রোকন মিয়া (২৫), আছিয়া খাতুন (৫৫), আকলিমা আক্তার (৪৫)কে ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে প্রতিপক্ষের লোকজন আলী জাহান (২৮) নামের এক ধান ব্যবসায়ীকেও মারধর করেছে। এ সময় ওই ব্যবসায়ীর ব্যাগের ভেতরে থাকা লক্ষাধিক টাকা ও নৌকার মধ্যে শতাধিক মণ ধানও তারা নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ ওঠেছে।
এলাকাবাসী ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার ভাটি নজরপুর গ্রামের সামনে ধানের খলা খড় শুকানো নিয়ে ভাটিনজরপুর গ্রামের সুজাত মিয়ার সঙ্গে পার্শ্ববর্তী বানারসীপুর গ্রামের নূর মোহাম্মদের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সুজাত মিয়া ও নূর মোহাম্মদের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় নূর মোহাম্মদের চাচাতো ভাই ধান ব্যবসায়ী আলী জাহান (২৮) সেখানে সংঘর্ষ থামাতে গেলে তাকেও মারধর করা হয় এবং তার ব্যাগের মধ্যে থাকা এক লাখ সত্তর হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়াসহ ভাটি নজরপুর গ্রামের নৌকা ঘাটে আলী জাহানের নৌকায় থাকা শতাধিক মণ ধানও লুট করে নিয়েছে সুজাত মিয়া ও তাঁর লোকজন। খবর পেয়ে বানারসীপুর গ্রামের ১৫-২০জন মাতব্বর ও কয়েকজন মহিলা ঘটনাটি সুরাহা করে টাকা ও লুটপাট করা ধান উদ্ধার করতে ওইদিন সকাল দশটার দিকে বানারসীপুর গ্রাম থেকে নৌকাযোগে ভাটি নজরপুর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। কিন্তু ওই লোকজন ভাটি নজরপুর গ্রামের ঘাটে নৌকা ভিড়ানোর মুহূর্তে সুজাত ও তার লোকজন ইট পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। এতে নৌকায় থাকা রোকন মিয়া (২৫), আছিয়া খাতুন (৫৫), আকলিমা আক্তার (৪৫) ,খালেক মিয়া (৬৫), নূরুল মিয়া (২৮), নূর জাামাল (৪৫)সহ অন্তত ১৫জন আহত হন। এদের মধ্যে রোকন মিয়, আছিয়া খাতুন ও আকলিমা আক্তারকে ওইদিন দুপুরে ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা সাময়িক চিকিৎসা নিয়েছেন।
ধর্মপাশা থানার এসআই শেখ মো. রুবেল মিয়া বলেন, এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটির তদন্ত করে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।