1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১২:৪৮ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন : নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার কাম্য নয়

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০১৯

গত ১৩ এপ্রিল দৈনিক সুনামকণ্ঠের একটি সংবাদ শিরোনাম ছিল, ‘সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন ॥ নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ’। এমন অভিযোগ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের ঘটনা কোনও নতুন কীছু নয়। সে অনেক অনেক পুরনো প্রসঙ্গ, বলতে গেলে মান্ধাতার আমলের কথা। এতোটাই পুরনো যে, লোকে এখন এসব অভিযোগ ওঠার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করে না। বিষয়টা এমন যে, ঠিকাদারি ব্যবসায় তো এমনই। মালামাল ব্যবহারে নয়-ছয়, যা-ই হোক কীছু একটা দুর্নীতি তো হবেই, যে-কোনও কাজে দুর্নীতির অনিবার্যতা বর্তমানে একটি সর্বজন স্বীকৃত স্বতসিদ্ধ প্রপঞ্চ। এর অন্যথা হবার কোনও জো নেই। বিশেষ করে দেশের রাষ্ট্রীয় বা সরকারি অবকাঠমো বিনির্মাণের ক্ষেত্রে দুর্নীতির এই দৌরাত্ম্য চলছেই। এবং দেখেশোনে মনে হয়, যদি কোনও কার্যকর ব্যবস্থা কারও পক্ষ থেকে সত্যিকার অর্থে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে না করা হয়, তবে তা চলতেই থাকবে, যেমন প্রকাশ্যে চলছে তেমনি। কারও কীছুই করার থাকবে না, একা একজন মালেক হুসেন পীর কী-ই বা করতে পারেন।
কোনও কোনও দেশে দুর্নীতিকে কঠোর হস্তে নির্মূল করা হয়েছে। যারা সেটা পেরেছে তারা উন্নতির মুখ দেখেছে এবং সেই সঙ্গে পেয়েছে সামাজিক সুখ ও শান্তি। অনুন্নয়নকে লেজুড় করে নিয়ে কেউ যদি দেশে শান্তি, শৃঙ্খলা ও সমৃদ্ধি আশা করে সেটা হবে পাগলামির নামান্তর। আমাদের দেশের অবস্থা অনেকটা এমনই। এখানে প্রতিনিয়ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্যসহনশীলতার প্রত্যয় ঘোষণা করতে হচ্ছে। কিন্তু যেখানে নির্মাণকাজ হচ্ছে সেখানে অভিযোগ ওঠার পর সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীকে ঠিকাদারের পক্ষাবলম্বন করতে প্রত্যক্ষ করা যাচ্ছে এবং চাপের মুখে শেষ পর্যন্ত ধরি মাছ না ছুঁই পানির মতো একটা প্রতিকার করতে তিনি পারঙ্গমতা প্রকাশ করছেন।
আমরা অন্তত এর চেয়ে পরিতাপের বিষয় আর কী হতে পারে। যেখানে করা হয়েছে সেখানে উন্নয়নের গতি প্রভূত বৃদ্ধি পেয়েছে। তা না হলে ঠিকাদারের লাভের গুড় পিঁপড়ায় খেয়ে ফেলবে। ঠিকাদার তো টাকা দিয়ে আগে ঠিকেদারি কেনে, ঠিকেদারি কেনার পর ঠিকেদারি কাজকে কেনে। এক পণ্য তাকে দুইবার কিনতে হয় এবং যদি চাঁদাবাজ – মস্তানের খপ্পরে পড়ে আবার এক পশলা বাড়তি খরচের ধকল সইতে হয় তবে তো একটি পণ্য তিন বার ক্রয়ের খপ্পরে পড়া হয়ে যায়। তখন এক ছাগলকে তিন বার কেনার কেচ্ছার সৃষ্টি হয়। তবে এই অবস্থা চলতে দেয়া যায় না।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com