1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ১০:৩৭ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

রাষ্ট্রের সকল মানুষ যেন তার মৌলিক অধিকারগুলো সমানভাবে ভোগ করতে পারে

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০১৯

বেশ ক’দিন আগে আমাদের সম্পাদকীয়র একটি মন্তব্য ছিল, ‘দেশের বিভিন্ন সেক্টরে দুর্নীতি নিয়ে আমরা বিব্রত ও বিচলিত বোধ করছি।’ এই বিব্রতবোধ এতোটাই প্রবল যে, এই কীছু দিন আগে একজন এই যাকে বলে ‘ক্লিন ইমেজের রাজনীতিবিদ’ কারারুদ্ধ হয়ে ছাড়া পাবার পর ভাবছিলেন, সব কীছু বেচে দিয়ে বিদেশে চলে যাবেন, এই দেশে থাকবেন না। বিব্রতবোধের তীব্রতা এতোটাই মনটাকে তিক্ত করেছে যে, তিনি তাঁর নিজ বাসভূমিতে নিজেকে নির্বাসিত ভাবতে শুরু করেছেন। এমন পরিস্থিতি উদ্ভবের কারণ কী?
দেশের রাজনীতি এমন হয়ে পড়েছে যে, অনেক রাজনীতিক ন্যায়বোধবহির্ভূত কার্যক্রমে নিজেদেরকে কার্যত নিয়োজিত করে রেখেছেন এবং সাধারণ মানুষের কাছে নিজেদের ‘ক্লিন ইমেজ’ প্রতিচ্ছবি প্রতিস্থাপিত করতে বিভিন্ন ধরনের রাজনীতিক কৌশল অবলম্বন করছেন। এইরূপ রাজনীতির কবলে পড়ে কেবল কেউ কেউ বিব্রত হচ্ছেন এমন নয়, সমগ্র দেশের মানুষই বিব্রতাবস্থায় নিপতিত হয়েছেন। তাঁরা কী করবেন বোঝতে পর্যন্ত পারছেন না, উদ্ধারের কোনও সহজ-সরল উপায় খোঁজে পাচ্ছেন না। উক্ত সম্পাদকীয়তে উপায়ান্তর না পেয়ে সমস্যা নিরসনে সামাজিক অন্দোলন গড়ে তোলাকে প্রধান্য দেওয়া হয়েছে এবং এমনকি প্রয়োজনে সে-আন্দোলনকে সার্থক করে তোলতে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগের অনুমোদন পর্যন্ত স্বীকৃত হয়েছে।
এখনও পর্যন্ত সারা বিশ্বে এমন আর্থসামাজিক বিন্যাস কিংবা সমাজপরিসর বিদ্যমান যে, যে-কোনও আন্দোলনের সামগ্রিক পরিপ্রেক্ষিত বা বাস্তবতাটাই রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকা-ে ভরপুর, যেহেতু রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিক্রিয়াশীল কর্মসূচির প্রতিবাদ-প্রতিরোধে প্রাণিত হয়েই যে-কোনও আন্দোলনের এখনও সূচনা হয়ে থাকে। বাংলাদেশে বর্তমান রাষ্ট্রকর্তৃপক্ষ বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করতে বদ্ধপরিকর, আমরা এর বিপক্ষে নই। দেশের উন্নতি কে না চায়। কিন্তু দেশের উন্নতির প্রচেষ্টার সঙ্গে মানুষের মধ্যে ধনবৈষম্য সৃষ্টিরোধে রাষ্ট্রের কোনও কার্যক্রম নেই। এই উন্নতি যদি ধনীর আরও ধনী হওয়া এবং গরিবের আরও গরিব হওয়ার পথকে সুগম করে তা হলে প্রকারান্তরে রাষ্ট্রই সমস্যা তৈরির কারখানায় পরিণত হয় এবং সে-অবস্থায় সমস্যা নিরসনের সে-আন্দোলনে স্বয়ং রাষ্ট্রের উদ্যোগী হওয়ার কোনও প্রশ্নই উঠে না, বরং রাষ্ট্রের পক্ষে সর্বাগ্রে আন্দোলন দমনে ব্রতী হয়ে উঠাই স্বাভাবিক।
আমরা রাষ্ট্রের এমন নিয়ন্ত্রণ চাই, যাতে করে রাষ্ট্রকর্তৃপক্ষ রাষ্ট্রকে চালাতে গিয়ে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন নিশ্চিত করার সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ মানুষকেও উন্নত জীবনমানের অধকারী করতে পারে। অর্থাৎ এক কথায়, রাষ্ট্রের সকল মানুষ তার মৌলিক অধিকারগুলো সমানভাবে ভোগ করতে পারে, রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আরোপিত কোনওরূপ বৈষম্যের কারণে যেন কেউ বিব্রত না হয়।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com