গতকালের দৈনিক সুনামকণ্ঠে প্রকাশিত ‘বাদ পড়া হাওর অধ্যুষিত উপজেলাগুলো প্রজ্ঞাপনে যুক্ত করা হোক’ শীর্ষক সংবাদপ্রতিবেদনটির একটি নয় দু’টি তাৎপর্য আছে। একটি হলো ব্রিটিশ আমল থেকে উন্নয়নবঞ্চিত ও উপেক্ষিত, অন্যদিকে প্রকৃতিগতভাবে অনুন্নত ও উপদ্রুত এলাকগুলোকে সরকার উন্নয়নের আওতায় নিয়ে আসার একটি মহৎ ও প্রশংসনীয় উদ্যোগের সূত্রপাত ঘটিয়েছেন। অন্য তাৎপর্যটি হলো তালিকা করতে গিয়ে, বঞ্চিত এলাকা অবার নতুন করে বঞ্চিত হওয়ার ফাঁদে পড়েছে এবং প্রকারান্তরে তালিকাভুক্ত না হয়ে এই উত্তম পরিকল্পনাটিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলেছে।
সরকার হাওর, বিল ও চর এলাকার উন্নয়নে বিশেষ প্রযতœ নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন এবং কোন কোন এলাকায় কাজ করা হবে তার একটি তালিকা করে প্রজ্ঞাপন ছেপেছেন। আর প্রজ্ঞাপনের অর্থই হলো প্রজ্ঞাপনে নেই এমন কোনও এলাকায় সরকার কোনও উদ্যোগ গ্রহণ করবে না, প্রজ্ঞাপনের বাইরে পড়ে থাকা এলাকায় কাজ করার বাস্তব প্রয়োজনীয়তা যদি থাকে তবু। অর্থাৎ বঞ্চিত বঞ্চিতই থেকে যাবে। প্রশাসনিক কিংবা দাপ্তরিক এই অবিমৃষ্যকারিতার প্রতিবিধান সাধারণত আমাদের দেশে সম্ভব হয়ে উঠে না, ব্যবস্থাটিকে আমরা এমনি জটিল করে রেখেছি।
প্রতিবেদনে সুনামগঞ্জের বাদ পড়া তিনটি উপজেলার নাম ‘সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনে’ অন্তর্ভুক্ত করার দাবি উঠেছে। এই তিনটি উপজেলা হলো- তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, দিরাই। এই তিনটি উপজেলা হাওর অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য এদেরকে বাদ দিয়ে হাওর উন্নয়নের পরিকল্পনা যদি কেউ করেন, বাস্তবক্ষেত্রে তা অন্তঃসারশূন্যতায় পর্যবশিত হবে। আমরা এই তিন উপজেলার নাম প্রজ্ঞাপনে অন্তর্ভুক্ত করার দাবিকে সমর্থন করি।