গতকালের দৈনিক সুনামকণ্ঠের একটি সংবাদ প্রতিবেদন থেকে জানা যায় যে, ইন্টারনেটভিত্তিক জুয়ার ওয়েবসাইট বন্ধ করতে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান এবং বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাই কোর্ট বেঞ্চ রুল জারি করেছেন।
আমাদের দেশে এরকম রুল প্রায়ই জারি করা হয়ে থাকে। পত্রপত্রিকায় আমরা তার খবর পাঠ করে থাকি। রুলগুলো সাধারণত কোনও ব্যক্তিবিশেষের আবেদনের ভিত্তিতে কিংবা কোর্ট স্বপ্রণোদিত হয়ে করে থাকেন। এবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন সচিব ও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থার (বিটিআরসি) চেয়ারম্যানকে দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। অর্থাৎ উক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহকে ইন্টারনেটভিত্তিক জুয়ার ওয়েবসাইট বন্ধ করা অথবা না করার পক্ষে কারণ প্রদর্শন করতে হবে। আমরা সাধারণ মানুষ আইন ও আইনি কারণ-অকারণ অথবা প্রশাসনিক বাধ্যবাধকতা এতোটা বুঝি না। কিন্তু বুঝি যে, জুয়া সমাজের জন্য, মানুষের জন্য, জীবনের জন্য মঙ্গলজনক কীছু নয় এবং আমাদের সহজ সিদ্ধান্ত এই যে, এমন ক্ষতিকর যা-কীছুর প্রচলন আমাদের দেশের ভেতরে থাকবে তা-ই রাষ্ট্রকর্তৃপক্ষ বন্ধ করে দিতে পারেন। প্রতিবেদনে জুয়ার ক্ষতিকর দিক তুলে ধরে জনসাধারণকে ক্ষতি থেকে রক্ষার রাষ্ট্রের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার বিষয়টির প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এতে আমরা সবিশেষ আশ্বস্ত হয়েছি। আমরা মনে করি অচিরেই সমাজের জন্য দেশের জন্য, রাষ্ট্রের জন্য, মানুষের জন্য ক্ষতিকর এই ওয়েবসাইট বন্ধ করে দেওয়া হবে।