অক্সফাম বলছে, বিশ্বে এখন ২৬ জন ধনী মানুষ আছে যাদের ব্যক্তিগত সম্পত্তির পরিমাণ ১ লক্ষ ৪০ হাজার ডলার। অন্যদিকে এই পৃথিবীতে লক্ষ লক্ষ মানুষ নগদ টাকার অভাবে খাদ্য কিনতে না পেরে উপোষ করে আছে। আমরা স্বাধীনতার ৪৮ বছর পর উন্নয়ন করেছি দেশের। শত প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও দেশকে মধ্য আয়ের দেশে নিয়ে গিয়ে উপনীত করেছেন শেখ হাসিনা। কিন্তু এই উন্নয়ন সুষম নয় এটি একটি অসম উন্নয়ন। দেশে মানুষের মধ্যে ধনবৈষম্য উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেটা ঠেকাতে পারছি না। এই কারণে দুর্নীতি, সন্ত্রাস বাড়ছে, মাদকের ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানুষ রাতারাতি ধনী হওয়ার জন্যেই মাদক ব্যবসায় করে এবং মাদকাসক্ত বিপুল সম্ভাবনাময় যুবশক্তিকে উৎপাদনশক্তিতে পরিণত করা যাচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী তাই দেশকে সমূহ বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে শূন্যসহনশীলতা দেখাতে বলেছেন দেশের প্রতিটি মানুষকে। সুনামগঞ্জের ২৮ বর্ডার গার্ড সে কর্মসূচিকে বেগবান করতেই মাদকদ্রব্য ধ্বংসজ্ঞের আয়োজন করেছেন। প্রায় ৩ কোটি ৬৬ লক্ষ টাকার মাদকদ্রব্য ধ্বংস করা হয়েছে। গতকাল (২৩ জানুয়ারি ২০১৯) এই ধ্বংসযজ্ঞ করেছে সুনামগঞ্জের ২৮ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন। অন্যকথায় বাজার দর অনুসারে ৩ কোটি ৬৬ লক্ষ টাকা ভস্মীভূত করা হয়েছে। ২৮ বিজিবি সুনামগঞ্জ ও অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মাকসুদুল আলমকে অভিনন্দন।
জানান কথা, শূন্যসহনশীলতা প্রদর্শন করে দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও মাদক বিরোধী অর্থনীতি গড়ে তোলতে না পারলে সমাজ থেকে দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও মাদক নির্মূল করা যাবে না। প্রচলিত অর্থনীতির ভেতরে দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও মাদক বিস্তারের অনুকূল আর্থসামাজিক পরিসর বজায় রেখে কেবল শূন্যসহনশীলতা দেখানোর কোনও মানে নেই।
রাষ্ট্রের ভেতরে সন্ত্রাস ও দুর্নীতিকে রোধ করা হয় তো সম্ভব। ইতোমধ্যে জঙ্গিসন্ত্রাসকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। কিন্তু বাইরের প্রতিবেশী রাষ্ট্র মাদকবাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত, সেটাকে নিয়ন্ত্রণ করা কূটনৈতিক পর্যায়ের কাজ, সেদিকেও রাষ্ট্রকে বিশেষ করে নজর দিতে হবে। তাছাড়া প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে দেশের সমগ্র জনগণের সহায়তা দরকার পড়বে তাতে কোনও সন্দহ নেই। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায়ই এই বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে হবে দেশকে।