জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে সামাজিক ও রাজনৈতিক সকল মতভেদ ভুলে সবাইকে এক কাতারে দাঁড়াতে হবে। দেশের হাতেগোনা কয়েক জঙ্গি ও সন্ত্রাসীর কাছে ১৬ কোটি মানুষ কখনোই পরাজয় বরণ করতে পারে না। এ জন্য প্রয়োজন সামাজিক সচেতনতা। গড়ে তোলতে হবে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী সামাজিক আন্দোলন।
ইতোপূর্বে জঙ্গিবাদ নির্মূলে প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে মাঠ প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে সরকার। জঙ্গিবাদ বিরোধী জনমত গঠন, নাশকতা বিরোধী কমিটিগুলোকে আরও কার্যকর এবং পূর্ণাঙ্গরূপে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট গঠনসহ আট নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে সব বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের লিখিত চিঠি দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। পাশাপাশি একই ধরনের চিঠি পুলিশ সুপার ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কাছে পাঠিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
“জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়তে হবে” শীর্ষক সংবাদ গতকাল মঙ্গলবার দৈনিক সুনামকণ্ঠে প্রকাশ হয়েছে। সংবাদে উল্লেখ- বাংলাদেশ পুলিশ সিলেট রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. নজরুল ইসলাম বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিকে নস্যাৎ করার জন্য সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ হচ্ছে। তাই স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা পড়াশোনা করছে তাদেরকে সামাজিক এবং প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সচেতন করতে হবে। কোনো সন্তান পরিবার বা প্রাতিষ্ঠানিক অবস্থান থেকে যদি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তাহলে মনে করতে হবে তার মধ্যে একটা পরিবর্তন এসেছে। এ বিষয়ে সতর্ক থেকে পরিবর্তনের কারণ জানতে হবে। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে প্রত্যেক গ্রামে ওয়ার্ডে সভা করে জনগণকে সচেতন করতে হবে। দেশপ্রেমের চেতনায় সকলকে উদ্বুদ্ধ হয়ে জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান সিলেট রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি।
পুলিশ প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর তৎপরতার পাশাপাশি সমাজের সকল শ্রেণিপেশার মানুষকে এগিয়ে না আসলে জঙ্গিবাদ দমনে কোনো সুফল আসবে বলে মনে হয় না। মনে রাখতে হবে, জঙ্গিবাদ একটি জাতীয় সমস্যা। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ সুস্থ কোনো মানুষ সমর্থন করতে পারে না। যারা জঙ্গিবাদ করে তারা দেশ ও জাতির শত্রু। যারা জঙ্গি তাদের সংখ্যা হাতেগোনা। আমরা যদি দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে এসে সকলে ঐক্যবদ্ধ হই তাহলে দেশে জঙ্গির কোনো অস্তিত্বই থাকবে না। এ জন্য প্রয়োজন সামাজিক সচেতনতা। এই সমস্যা থেকে উত্তরণ পেতে আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হই। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূলে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলি।