গতকাল দৈনিক সুনামকণ্ঠের শীর্ষশিরোনাম ছিল, “সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজ : বহিরাগতদের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ শিক্ষার্থীরা”। বলা বাহুল্য এই বহিরাগতরা বখাটে। তারা কলেজ ক্যাম্পাসের ভেতরে মটর সাইকেল মহড়া দেয়, যত্রতত্র দাঁড়িয়ে ধূমপান করে, ছাত্রীদের উদ্দেশে অশ্লীল মন্তব্য-ইঙ্গিত করে, বিভিন্ন বিভাগের সামনে দাঁড়িয়ে জটলা পাকায়, শ্রেণিকক্ষে ঢুকে বেঞ্চের উপর বসে আড্ডা মারে, শ্রেণিকক্ষের সামনে দাঁড়িয়ে হৈ চৈ করে, মাঝে মাঝে মারামারি করে নিজেদের মধ্যে। অধ্যক্ষ ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বৈঠক করেছেন। অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছেন। থানা কর্মকর্তা বলেছেন, কলেজে ঝামেলার খবর পেলে পুলিশ পাঠানো হয়। ছাত্ররা বলেছেন, অমুক ভাই তমুক ভাইর ছেলেরা এসে ক্যাম্পাসের পরিবেশটা অস্থিতিশীল করে তোলছে, ছাত্রীরা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন। এই সব এতসব কীছুর পর নির্দ্বিধায় বলা যায়, জেলার শ্রেষ্ঠতম বিদ্যায়তন বখাটেদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, কার দোষে?
সমাজ তথা বখাটেদের অভিভাবক কিংবা সুশীলগণ, প্রশাসন, সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ, রাজনীতিক্ষেত্রে নীতিনির্ধারকগণ তথা ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছাত্রসমাজ কেউই সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজে বহিরাগতদের বখাটেপনার প্রাদুর্ভাবের দায় এড়াতে পারবেন না। এর বেশি এ ব্যাপারে এখানে বলার অবকাশ নেই। কেবল এটুকুই বলার আছে যে, সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজটিকে বখাটেদের অভয়ারণ্য নয়, শিক্ষার্থীদের অভয়ারণ্য করে দিন। বিদ্যাশিক্ষার ক্ষেত্র বিদ্যার্থীদের জন্য ভয়ারণ্য হয়ে থাকুক এটা কারও কাম্য হতে পারে না। এ ব্যাপারে অচিরেই যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা চাই, শিক্ষাক্ষেত্র প্রকৃতার্থেই শিক্ষার্থীদের জন্য অভয়ারণ্য হয়ে উঠুক।